ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে উন্নয়ন বঞ্চিত একটি হাট-বাজারের নাম হাটখোলা কাঁচা বাজার। যা যুগ যুগ ধরে পৌরসভার ব্যবসায়িক প্রান কেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এই বাজারটিতে মাছ, মাংস ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে মানুষের সাংসারিক বা পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পন্য চাহিদা মত পাওয়ার পাশাপাশি সহজ সাধ্য হওয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের খাতিরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজারও মানুষের আগমন ঘটে। এছাড়া স্থানীয় ভাবে সকল শ্রেণী-পেশার নারী ও পুরুষদের সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভীড় জমানোর বিষয়টি লক্ষণীয়। একই সাথে এই বাজারটি ঘিরে রয়েছে উপজেলা ভূমি অফিস। অন্যদিকে এই বাজার থেকে সরকার প্রত্যেক বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকেন বলে জানা যায়। অথচ চলাচলের সকল রাস্তা দীর্ঘদিন খানা-খন্দে পরিনিত হয়ে পথচারীদের চলাচলে দারুন বিঘ্ন ঘটছে। বর্ষা মৌসুমে জমে থাকা পানি-কাদার ভয়ে জনসাধারন প্রবেশ করতে চাই না। ফলে সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হওয়ার পাশাপাশি মেইন সড়কে প্রতিনিয়ত যান জটের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসায়িক ভাবে মোটা অংকের টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে এখানকার বহু ব্যবসায়ীদের। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ব্যাংক বীমা এনজিও’র চড়া সুদের ঋণ নিয়ে ব্যবসা করার ঘটনা নতুন কোন খবর নয়। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, একটু বৃষ্টি হলেই বাজারের ভেতরের রাস্তা গুলো কাঁদায় একাকার হয়ে যাওয়াই ক্রেতারা বাজারে ঢুকতে পারে না। ফলে ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত ভাবে মালামাল বিক্রি করতে না পারায়, মৌসুম জুড়েই অধিক পরিমাণে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। অতি পুরনো এই বাজারের সমস্ত রাস্তাঘাট বছরের প্রায় ১২ মাসই চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকে। অভিভাবক হীন অবস্থায় রয়েছে বাজারের প্রায় ৭টি রাস্তা। বৃষ্টি হলেই এসব রাস্তার উপর হাটু পানি-কাদা জমে নাভিশ্বাস হওয়ার উপক্রম। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা বলেন, এখানে নেই কোন সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে রাস্তার দু’ধারে পানি জমে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে। দীর্ঘদিন রাস্তাগুলো সংস্কার না করায় বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় খানা-গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার আগমন ঘটে। একই সাথে এলাকার স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী এসব পথে যাতায়াত করতে যেয়ে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে তাদের। দূর-দুরান্ত থেকে আসা অনেক ক্রেতা-বিক্রেতাকে অনেক সময় কাদামাটি মেখে বাড়ি ফেরার ঘটনা বিরল। মাঝে মধ্যে ঘটছে ছোট বড় সব দুর্ঘটনাও। তাছাড়া বাজারের বিভিন্ন রাস্তার উপরে তরিতরকারির দোকান বসার কারণে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে চরম অবহেলিত এই বাজারের বিধ্বস্ত সড়কের ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
সর্বোপরি এই বাজারের সড়ক সংষ্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কল্পে ঝিনাইদহ সদর মেয়র ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ জননেত্রী প্রধান মন্ত্রীর আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শহরবাসী ও ব্যবসায়ীরা।