কালীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালিগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মারধর ও অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরন করছেন বলে জানা গেছে। গত রোববার (৭ জুলাই) আনুমানিক সকাল ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে উপজেলার ৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রানি লস্করের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলেন স্থানীয় সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম ও তার সহকর্মীরা।

সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক “বাংলার দূত” পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এবং ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি, কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি।

জানা গেছে, কিছুদিন পূর্বে কালিগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি চাউল চুরি করে আলম সাধু যোগে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজারে নেওয়া হচ্ছিল।এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সেখানে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদে আলম সাধুর ড্রাইভার তিনটা ডিও লেটার দেখায়। যেখানে ৪নং নিয়ামতপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনি লস্কর, ৬নং ত্রিলোচানপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম রিতু হিজড়া এবং ৮নং মালয়াহাট ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল খার নাম পাওয়া যায়। এ ঘটনার নিউজ বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক দৈনিকে ফলাও ভাবে প্রকাশিত হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম জানান, নিউজ প্রকাশের পর চেয়ারম্যান রনি লস্কর তার মোবাইল ফোনে কল করে দুর্ব্যবহার করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, গত রোববার আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কালিগঞ্জের ৭নং রায় গ্রাম ইউনিয়নের কেয়াবাগান আসাদুজ্জামান হোসনিন কেয়াবাগান আদর্শ কলেজ মাঠে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যায় আমি ও আমার সহযোগী জসিম উদ্দিন। এসময় ঘটনাস্থলে চেয়ারম্যান রনি লস্কর তার সহযোগীদের নিয়ে আমার উপর উপর্যুপুরি হামলা করে আহত করে এবং সহযোগী সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।

এ ঘটনার বিষয়ে নিয়ামতপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনি লস্করের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে একটি রাস্তার কাজ চলছিলো। সেখানে রাস্তার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করায় কথাকাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয়দের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার কোন হাত ছিলনা।

কালিগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদক কে বলেন, আহত সাংবাদিক রাকিবুল ইসলামের ফোন পেয়ে আমি দ্রুত তাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠাই। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top