হরিনাকুণ্ডু(ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন
সারা দেশে স্বল্প সময়ে কৃষকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে গোল্ডেন এগ্রোভেট এর উৎপাদিত বিভিন্ন কীট নাশক,বালাই নাশক যা কৃষক, কৃষি ও পরিবেশ বান্ধব। এ সমস্ত পণ্য ব্যবহার করে দারুনভাবে লাভবান হয়েছেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামে সফল চাষী আব্দুল মমিন।তিনি এ বছর ৫ একর জমিতে ভুট্টা, আলু, ধান, বেগুনের আবাদ করে লাভের ফসল ঘরে তুলেছেন।এদিকে আরও জানা যায় হরিনাকুন্ডু উপজেলার এরিয়া ম্যানেজার নজরুল ইসলামের পরামর্শে,হরিনাকুন্ডু পৌরসভার সাবেক মেয়র জনাব শাহিনুর রহমান রিন্টু তার আবাদি ২০বিঘা জমিতে গোল্ডেন এগ্রোভেট লিঃ এর প্রোডাক্ট ব্যবহার করে তিনি আগের তুলনায় অনেক লাভবান হয়েছেন এবং তিনি কৃষকদের গোল্ডেন এগ্রোভেট এর প্রডাক্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।কপিল ট্রেডার্সের মালিক হামিদুর রহমান বলেন গোল্ডেন এগ্রোভেট লিমিটেডের পন্য ব্যবহার করে অনেক কৃষক লাভবান হয়েছেন। সঠিক সময়ে কৃষি সম্পর্কিত তথ্য না পাওয়ায় এবং নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ফসল ফলিয়ে যথাযথ মুনাফা পাচ্ছিলেন না অনেক কৃষক। বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন কোম্পানীর বালাইনাশক ব্যবহার করে প্রতারিত হচ্ছিলেন, এমনকি ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি এ বছর গোল্ডেন এগ্রোভেট লিঃ এর এরিয়া ম্যানেজার নজরুল ইসলামের পরামর্শে তার ফসলের জমিতে গোল্ডেন এগ্রোভেটের প্রডাক্ট ব্যবহার করেন। এতে তার ফসলের ফলন বাড়ে দ্বিগুনহারে।এদিকে কৃষিবীদদের মতে ফলন বাড়াতে কৃষক জমিতে মাত্রাতিরিক্ত ও অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে রাসায়নিক সার। এ কারণে দিন দিন মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে, কমে যাচ্ছে উর্বরা শক্তি। মৃত্তিকা বিজ্ঞানীদের মতে,সুস্থ মাটিতে সাধারণত ৪৫ শতাংশ খনিজ পদার্থ বা মাটির কণা,৫ শতাংশ জৈব পদার্থ এবং ২৫ শতাংশ করে পানি ও বাতাস থাকার কথা। এর মধ্যে গাছের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টির উপাদান জোগান দেয় মাটিতে থাকা জৈব পদার্থ। আদর্শ মাটিতে জৈব পদার্থের মাত্রা ৩.৫ শতাংশ থাকা অতি প্রয়োজন; কিন্তু দেশের বেশির ভাগ জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ মাত্র এক দশমিক ১৭ শতাংশ।বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরআইডি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট আবাদযোগ্য ৮৭ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমির ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ মাটিতে জৈব পদার্থের মারাত্মক অভাব রয়েছে।এ কারনে এসআরআইডি দেশের প্রতিটি উপজেলার ভূমি ও মাটি ব্যবহার নির্দেশিকা তৈরি করেছে। কোন জমিতে কোন ফসলের জন্য কোন সার কী পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে,তার পরামর্শ আছে নির্দেশিকায়। এ বিষয়ে দেশের স্বনামধন্য এগ্রোভেট কোম্পানী ‘গোল্ডেন এগ্রোভেট’ এর এজিএম শাহিনুর রহমান বলেছেন, শুধু নির্দেশিকা তৈরি করলেই হবে না; তা অনুসরণ করতে হবে। মাটির গুণাগুণ নিঃশেষ হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার আগে মাটি ব্যবস্থাপনার প্রধান কারিগর কৃষকদের সচেতন করতে হবে, তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। মাটি রক্ষায় প্রয়োজনে শক্ত আইন প্রণয়ন ও তার কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন এ ক্ষেত্রে গোল্ডেন এগ্রোভেট এর উন্নত প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক ফরমুলায় তৈরী কীটনাশক ব্যবহার করে গোটা বাংলাদেশের কৃষক সাফল্য পেয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গোল্ডেন জিং,গোল্ডেন বরণ, গোল্ডেন ম্যাগ,গোল্ডেন ওয়াস কৃষকের জন্য সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব। তিনি বলেন ধানের পোকা দমনে হিসটো প্লাস ৫৫ ইসি,গোল্ডেন একটিভ খুবই কার্যকর। তিনি আরো বলেন,আধুনিক ফসল ড্রাগন চাষের জন্য হিস্টা প্লাস,গোল্ডেন বরণ ও গোল্ডেন শিকড়,গোল্ডেন পিজিআর,গোল্ডেন চিল্টেড জিঙ্ক যুগোপযোগী-কৃষিবান্ধব। তিনি জানান কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে এই কোম্পানী বিশস্ততা ও সততার সাথে অনন্য ভূমিকা রাখছে প্রতিনিয়ত। তিনি দেশের সফল উদ্যোক্তা ও কৃষকদের এই কোম্পনীর উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করার আহবান জানান।