ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের কেন্দ্র কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনার গাড়িতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নৌকার একটি নির্বাচনী মিছিল থেকে হামলা করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে। তিনি শৈলকুপার উপজেলা উপনির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে শৈলকুপায় গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। পারভিন জামান কল্পনা শৈলকুপার প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি প্রয়াত কামরুজ্জামানের কন্যা।
এ ঘটনার বিবরণ দিয়ে শৈলকুপা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা তৈয়ব আলী খান জানান, উপজেলা উপনির্বাচন কে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক সাতটার দিকে নৌকার একটি মিছিল নিয়ে তিনি শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি মুন্সি মার্কেটের কাছে পৌছলে কবিরপুরের দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট গাড়ি মিছিলের সামনে এসে ব্রেক করে। এসময় মিছিলের গতি রোধ না করতে পেরে অর্থাৎ মিছিলের পেছন থেকে চাপ আসলে কয়েকজন ছেলে পেছনের ঠেলা খেয়ে গাড়ির উপর পড়ে যায়। পরে মিছিলের গতি রোধ করে আমি গাড়িতে কে আছে দেখতে এগিয়ে গেলে ভেতর থেকে পারভিন জামান কল্পনা বলেন, আমার গাড়িতে হামলা করা হলো কেন। তৈয়ব আলী খান বলেন, নিজের চোখে ঘটনাটা কি ঘটলো দেখেও নেত্রী পারভিন জামান কল্পনা এমন প্রশ্ন করায় আকস্মিক আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। অথচ তিনি যখন নৌকা বিজয়ের লক্ষে শৈলকুপায় এসেছেন তখন নৌকার মিছিল দেখে দুর থেকে গাড়ি থামিয়ে, নৌকার মিছিল কে হাত উঁচু করে স্বাগত না জানিয়ে মিছিলের মধ্যে তিনি গাড়ি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া তিনি যে শৈলকুপায় এসেছেন বা তার গাড়ি কি ধরনের এটাও আমার জানা নেই। এটা জানা থাকলেও দুর থেকে গাড়িটি চিনতে পারলে আমরা তার নাম ধরে শ্লোগান দিতাম। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পারভিন জামান কল্পনা শুধু আওয়ামী লীগ নেতা তার জন্যই নয়, তিনি আমাদের শৈলকুপার একজন খ্যাতিমান আওয়ামী লীগ নেতার কন্যা তিনি আমাদের গর্ব। তৎকালীন সময়ে যার পিতা প্রয়াত কামরুজ্জামানের গাড়ি বহরে দুর্বৃত্তরা একটি তালের আটি মেরেছিল কিন্তু তার পাশে থাকা আরেকজন নেতা তাকে শিখিয়ে দিয়েছিল যে, দুর্বৃত্তরা আপনার গাড়িতে ইট মেরেছে এই কথা বলবেন। কিন্তু তিনি তা বলেননি তিনি সঠিক কথাটায় বলেছিলেন। আমরা তার কাছ থেকেই রাজনীতি শিখেছি যে কারণে মিথ্যা বলতে পারিনা। পারভিন জামান কল্পনা নিজের উপর মিথ্যাচারের গুজব ছড়িয়ে তার নিজের ভাবমূর্তি নিজেই নষ্ট করেছেন। গত বুধবার “পারভিন জামান কল্পনার গাড়িতে নৌকার মিছিল থেকে হামলা” এমন ঘটনার খবর ফেসবুকে ছড়ালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তৈয়ব আলী খান এ কথা বলেন। তৈয়ব আলী খান আরোও বলেন এ ঘটনার বিষয়ে তিনি ভুল বুঝলেও আমি তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বার বার ফোন করলেও তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্র কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনার মন্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত নাম্বার নিয়ে প্রতিবেদক ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাবেক সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নওরোজ, সাবেক সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল পারভেজ কর্নেল, ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল। এছাড়াও উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিগন।
০ Comments