ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ অবসর সময় কাটাতে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ৬৫ শতাংশ জমিতে কমলা ও মালটা চাষ শুরু করেন। এতে ১৫৫ টি কমলা ও ৬০ টি মালটা গাছের চারাসহ গাছগুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য জমির চারিপাশে কাটা তারের বেড়া দিতে তার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। কঠোর পরিশ্রম আর পরিচর্যার মাধ্যমে গাছ গুলোতে ফল ধরতে শুরু করে। বর্তমানে কমলা ও মালটাগুলো পাকতে শুরু করেছে। যে কারনে পাড়ার বখাটেদের নজর পড়েছে ঐ কমলা বাগানের উপর। রাতের আঁধারে চুরি হতে থাকে কমলা। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা জানান, চোর সনাক্ত করে কমলা চুরির প্রতিবাদ করায়, গত ৬ নভেম্বর রোববার বাগান পুড়িয়ে দেওয়া সহ কিভাবে এখানে কমলার চাষ করি তা দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলো তারা। কথা নয় কাজ, গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাগান পাহারাদারের জন্য করা টিনের ছাপড়া ঘরটি। এসময় ঐ ঘরের আগুনে আশে পাশের বেশ কয়েকটি ধরন্ত কমলা গাছও পুড়ে যায়। সাবেক সেনা কর্মকর্তা জানান, এতে আমার প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যে কারনে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সদর উপজেলার পুড়াহাটি ইউনিয়নের বিজয়পুর পুর্ব পাড়ার মৃত নিহাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সেখ মোঃ সোহেল রানা মুঠো ফোনে জানান, আমি পারিবারিক কারনে একটু বাইরে আছি। থানায় অভিযোগ দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নাই।