নিজস্ব প্রতিবেদক-
ঝিনাইদহের ঝিনুক টাওয়ারে বসবাসরত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক দেবাশীষ বর্মণ সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গত ৫ জুন ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন এক ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো, ঝিনুক আবাসিক টাওয়ারে বসবাসরত লিয়াকত হোসেন, এমডি আব্দুর সাদ, মোকারম হোসেন ও দারোয়ান মামুন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ঐ ইতালি প্রবাসী বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন ভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করত। প্রবাসীর স্ত্রী ঝিনুক টাওয়ারে লিফটের পঞ্চম তলায় তার এক ভাই ও শিশু বাচ্চা নিয়ে বসবাস করে আসছিল। জানা যায়, গত ২৭শে মে রাত দশটার সময় তার ছোট ভাই দোকানে ডিম আনার জন্য বাহিরে গেলে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তার ঘরে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার ভাই দোকান থেকে এসে বাসায় প্রবেশ করতে গেলে দারোয়ান তাকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এসময় তাঁরা প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গিতে ধর্ষণ ও শারিরীক নির্যাতনের চেষ্টা করে। এঘটনার পর ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করতে গেলে সদর থানার ওসি তাকে আদালতে মামলা দায়ের করতে পরামর্শ দেয়। পরামর্শ মোতাবেক গত ৫ জুন ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে, আদালত মামলাটি ঝিনাইদহ সদর থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। এবিষয়ে ইবি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও দেবাশীষ বর্মনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মামলাটি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। প্রবাসীর ঐ স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে তারা বলেন, নারীটি ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলায় ভাড়া নেওয়ার পর থেকে তাকে উশৃংখল জীবন যাপন করতে দেখা যায়। প্রতি রাতেই তাঁর ওই ফ্ল্যাটে অচেনা যুবকদের আগমন দেখতো দারোয়ান। বিষয়টি দারোয়ানের মাধ্যমে জানতে পেয়ে তাকে দ্রুত বাসা ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়। এছাড়া দারোয়ানকে নির্দেশ দেয়া হয় রাত ১০টার পরে তার যদি কোন গেস্ট বাসায় আসে তাহলে তাকে যেন ঢুকতে না দেয়া হয়। ঘটনার দিন তার ভাই পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি রাত ১০টার পরে ফ্ল্যাটে আসার চেষ্টা করে। যেকারণে দারোয়ান তাকে বাসায় প্রবেশ করতে না দেয়ায়, তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রথমে থানায় পাত্তা না পেয়ে পরে আদালতে এই মিথ্যা মামলা করেছেন। এবিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী প্রতিবেদক কে জানান, তিনি বর্তমানে খুবই অসুস্থ। মানষিক ভাবে তিনি অনেকটা ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমার সাথে যা ঘটানো হয়েছে সেটি উল্লেখ করেই মামলা করা হয়েছে। কোন মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান জানান, কোর্ট থেকে মামলাটি এজাহার হিসাবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।