ঝিনাইদহের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করতে চাইঃ রাশেদ খান  

সবুজ মিয়া, ঝিনাইদহ- 
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমি ঝিনাইদহের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এ ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি নজর দেয়া প্রয়োজন তা হল চিকিৎসা ও শিক্ষাখাত। তিনি বিলেন, ঝিনাইদহের মানুষের চিকিৎসা নিতে সব থেকে বেশি বেগ পেতে হয়। ডাক্তারদের কোন রকম ঝুকি নেয়ার সু ব্যাবস্থা নেই। যে কারনে রোগীর অবস্থা একটু খারাপ দেখলেই বিভিন্ন যায়গায় রেফার করা হয়। হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের আসা যাওয়া সহ জরুরী ভিত্তিতে বিল্ডিঙয়ে উঠা নামার সু ব্যবস্থা নেই। সেই সাথে আমাদের জেলার ছেলে-মেয়েদের উন্নত শিক্ষার জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় দেশের অন্যান্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে দরিদ্র পিতা-মাতার জন্য ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও ছেলে-মেয়েদের উন্নত লেখা-পড়া করানো দূষকর হয়ে ওঠে। সব মিলে চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য ঝিনাইদহের মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যে কারনে আমার সুযোগ হলে ঝিনাইদহের মানুষের এসকল ভোগান্তি নিরসনে আমি কাজ করতে চাই। এতে আমাকে সহযোগিতা করতে হবে এবং ঝিনাইদহের ছেলে হিসেবে আমাকে সহযোগিতা করবেন বলে আমি আশা রাখি। বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহের ফ্যামিলি জোন কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। ঝিনাইদহ-২ আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির চিঠি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রাশেদ খান বলেন, বিএনপির সাথে আমাদের (গণঅধিকার পরিষদ) যুগপৎ সম্পর্ক। গণ অভ্যুত্থানে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিলেও নেপথ্যে থেকে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো শেখ হাসিনার পতনের মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি ঝিনাইদহ-২ আসনকে কেন্দ্র করে যে চিঠি দিয়েছে, সেটি কেন দিয়েছে তা বিএনপির নেতৃবৃন্দই বলতে পারবেন। এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। অন্তর্বর্তী সরকার প্রশ্নে রাশেদ খান বলেন, এই সরকার সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জাতীয় সরকার গঠিত হলে এই সমস্যা গুলোর সমাধান হয়ে যাবে। রাশেদ খান বলেন, আমি ঝিনাইদহের সন্তান। আমি নিম্নবৃত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে এখন জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করছি। ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি। জেল জুলুম সব সহ্য করেছি। এবারের আন্দোলনে আমাদের সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন আমাদের টার্গেট করে গ্রেফতার করা হয়েছে তা হয়তো বুঝতেই পেরেছেন। পুলিশ আমার বাড়িতেও ২ বার অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু গ্রেফতার এড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেছি। যখন দেখা গেল কোন ভাবেই আন্দোলন সফল করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন সাহেবের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের সাথে মত দেন। এরপর আমি ও আমার সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর শেখ হাসিনার পতনের প্লান করি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পরও ঝিনাইদহে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নামে মামলা হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে তার নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু ঝিনাইদহে নয় সারা দেশ ব্যাপি এ ঘটনা ঘটছে। আমরা সবকিছুরই খবর রাখছি। তিনি বলেন বিএনপির দেয়া চিঠি নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। আসুন সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করি। সবাই দেশের জন্য কাজ করি। তিনি বলেন, আমদের দল থেকে ৩শ আসনেই প্রতিনিধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপির সাথে নির্বাচনি ঐক্যের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। মতবিনিময় সভায় ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top