ঝিনাইদহের সার্বিক উন্নয়ণে জাহেদী পরিবারের বিকল্প নেই: সুধীমহল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ 

কুষ্টিয়াতে এমপি হানিফের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণের কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মাগুরাতেও শেখরের কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে যা অত্রাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়েছে। অথচ ঝিনাইদহের কোনো নেতা নেই যিনি ঝিনাইদহের জনগণের এজাতীয় সেবা নিশ্চিত করতে পারেন, গত ৫০ বছরে পারেন নি, পারবে এমন কোনো চেষ্টাও নাই বলে জানিয়েছেন জেলার সুধীমহল।

তারা বলেন, দেশে টাকার কোনো অভাব নেই। যে দেশে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয় সেখানে টাকার সমস্যা নয়। অভাব শুধু যোগ্য নেতৃত্বের। যার দূরদর্শী নেতৃত্ত্বের গুনে সরকারি টাকা ঝিনাইদহে এনে বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখেন তেমনি এক নেতৃত্বের নাম জাহেদি পরিবারের কাইউম শাহরিয়ার মহূল। পরিবারটিতে তিনি দাদা ভাই নামেই পরিচিত। যিনি ঝিনাইদহের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ঝিনাইদহ তে নির্মাণ করতে যাচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

সুধীমহল মন্তব্য করে আরোও বলেন, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে দেশের চেহারা পরিবর্তন করেছেন একক নেতৃত্বের কারিশমায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা। একজন যোগ্য নেতৃত্ব কতোটা প্রয়োজন তার উজ্জল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা। ঝিনাইদহের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হলো স্বাধীনতার পরবর্তীতে কোনো যোগ্য সৎ নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতার চেয়ার পড়েনি। ১৯৭৩ সালে মরহুম ভাষাসৈনিক মুসা মিয়া সংসদ নির্বাচন করেছিলেন তখনকার সময়ে তিনি ছিলেন সত্যিকার্থে সৎ যোগ্য ও সঠিক নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন একজন সময়ের সাহসী নেতৃত্ব। কিন্তু তখন পেশিশক্তি আর ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তাঁর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। ঝিনাইদহ তখন থেকেই সঠিক নেতৃত্বের অভাবে অনুন্নত। পথ হারা ঝিনাইদহে নেতা এসেছে অনেক, কিন্ত ঝিনাইদহের উন্নয়ণে চিত্র একই রকম থেকে গেছে। ২০০৬ সালে স্বাধীনতার পর সবথেকে মেধাবী, সৎ, যোগ্য, আপন গুণের মহিমায় মহিমান্বিত, ঝিনাইদহের জনগনের জন্য উজ্জ্বল নক্ষত্রের সমতুল্য, মহান ব্যাক্তিত্ব মহুল (দাদা ভাই) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো। কিন্ত ঝিনাইদহবাসীর দুর্ভাগ্য ছিলো যে, সে নির্বাচন বন্ধ হয়েগিয়েছিলো মঈনুদ্দিন-ফকরুদ্দিন সাহেবদের কারণে। নইলে এতোদিন ঝিনাইদহ হতো বাংলাদেশের সব থেকে পরিচ্ছন্ন, সমৃদ্ধশালী আধুনিক উন্নয়নের রোল মডেল নগরি। ঝিনাইদহবাসীর জন্য দুর্ভাগ্য ছিলো এটাই যে, তাঁর মতন স্বপ্নময় একজন মানুষকে এমপি হিসেবে পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন ঝিনাইদহের জনগণ।

যে কারণে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে ঝিনাইদহের মানুষগুলো বঞ্চিত হচ্ছেন। আশেপাশের জেলায় আছে অথচ সবচেয়ে পুরোনো জেলা ঝিনাইদহে কোনো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নাই এটা দুঃখজনক। অসুস্হাবস্হায় কষ্টকরে হয় কুষ্টিয়া, মাগুরা বা যশোরে মুমূর্ষু রোগীদের যেতে হচ্ছে। যা সময়সাপেক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতি ও কষ্টদায়ক ব্যাপার। এতে অনেক রুগীর প্রাণহানীরও কারণ বটে। এই বোধ থেকে মহুল (দাদা ভাই) তথা জাহেদী পরিবার ব্যাক্তিগত অর্থায়নে ঝিনাইদহের মানুষের জন্য নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের রাস্তার পাশে বিশ্বমানের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। যা নিজস্ব অর্থায়ণে নির্মিত আত্মমর্যাদার প্রতিক হবে ঝিনাইদহের মানুষের জন্য। যেখানে ঝিনাইদহের ছেলে মেয়েরা ডাক্তারি পড়বে, ঝিনাইদহের জনগনের সেবা নিশ্চিত হবে, গরিব দুঃখি টাকার অভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে অকালে ঝড়ে যাবে না। শতশত ঝিনাইদহের জনগণের কর্মসংস্থান হবে এ প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও নানাবিধ সুযোগ সৃষ্টি হবে।

পরিবারটি থেকে কাইউম শাহরিয়ার হিজল মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ জনগণ মতামত জানিয়েছেন যে, সঠিক নেতৃত্বের হাতে এবার পৌরসভার ক্ষমতার চেয়ার গেছে। ঝিনাইদহের চেহারা এবার পরিবর্তন হয়ে যাবে। তারা বলেন, অনেক বড় বড় মেগা প্রজেক্ট হতে পারে যা ঝিনাইদহবাসী কল্পনাও করেনি কখনো। ঝিনাইদহ তে রেল লাইন আসতে পারে, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে যেমনটা মেহেরপুরে নির্মিতব্য, বিসিক শিল্পনগরী গড়ে বড়বড় ইন্ডাস্ট্রিজ হতে পারে। এরকম নানাবিধ মেগাপ্রজেক্টের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে ঝিনাইদহতে। যেখানে ঝিনাইদহের হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে।

সচেতন মহল থেকে জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের জনগন দানখয়রাত চায় না স্বনির্ভর হতে চাই। কিন্তু ঝিনাইদহ নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করার মতন সঠিক নেতৃত্বর খুবই অভাব ছিলো। পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ণ করার মতো বুদ্ধিদীপ্ত যোগ্য মেধাবী, আন্তরিকতাপুরণ সৎ রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলনা। ঝিনাইদহ বাসীর জন্য সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান দাদাভাই ঢাবির ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট থেকে পাশ করা মেধাবী ছাত্র, বর্ণাঢ্য কর্মময় সফল ব্যাক্তিত্ব, মেধা মননে, দানশীলতায়, মানবীকতায় অনুকরণীয় একজন মানুষ। দেশের সর্বোচ্চ করদাতাদা, প্রথমসারীর ধনাঢ্য শিল্পপতি, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, তাঁর বাকী ভাইগুলোও দাদাভাইয়ের আদলেই গড়া অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। এই মুহূর্তে ঝিনাইদহের উন্নয়ণের সময়ের দাবি পূরণ করেছেন জাহেদী পরিবারের নক্ষত্র হিজল।

এমন স্বচ্ছ, নির্ভেজাল, মেধাবী, যোগ্য আত্মপ্রত্যয়ী মানবিক গুনসমৃদ্ধসমপন্ন পরিবারকে ঝিনাইদহের ক্ষমতার চেয়ারে বসিয়ে ঝিনাইদহের জনগণের নৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। জীবন মান উন্নয়ণের জন্য, সন্তানের অনাগত জীবন সমৃদ্ধকরণের জন্য, সন্ত্রাস মুক্ত নিরাপদ নগরী গড়ে তোলার জন্য পারিপার্শ্বিক জেলার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এ পরিবারকে ঝিনাইদহের জনগনের সেবা করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। হিজলকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করায় সরকারি টাকার শতভাগ উন্নয়ণের কাজে লাগানো নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পাশা পাশি জাহেদী ফাউন্ডেশনের টাকাও জনগণের উন্নয়ণে কাজে লাগিয়ে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ঝিনাইদহকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে এপরিবারকে। কাইয়ুম শাহরিয়ার হিজল মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পৌরসভার সাধারণ জনগণ আসা করছেন, ঝিনাইদহ এবার হবে আধুনিক বাংলাদের সবচেয়ে সুন্দর তিলোত্তমা নগরী।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top