সবুজ মিয়া, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহর শৈলকুপায় রাতের আধারে ঘুমন্ত নারীদের ব্যক্তিগত ভিডিও ধারণকারীকে সনাক্ত করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমানের দিক নির্দেশনায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল উপজেলার সাপখোলা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাপখোলা গ্রামের আদিলউদ্দিন খার ছেলে মোঃ জুলকার খাঁ (৩২) ও শামসুল বিশ্বাসের মেয়ে জান্নাতি খাতুন (২০)। পর্ণগ্রাফি উৎপাদন ও সংরক্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, সাপখোলা গ্রামে বিভিন্ন সময়ে রাতের আঁধারে জানালা দিয়ে এলাকার ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন অর্ধনগ্ন ভিডিও এবং ছবি ধারণ করা হচ্ছে। বিষয়টি সাপখোলা এলাকার জনমনে চরম আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ এপ্রিল আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে সাপখোলা গ্রামের ফেরদৌসের স্ত্রী ও কন্যার ঘুমন্ত ছবি তোলার সময় বিষয়টি টের পেয়ে ঘরের ভেতর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির হাত চেপে ধরে। তখন তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ফেলে অজ্ঞাতনামা ঐ যুবক পালিয়ে যায়। এসময় ফেলে যাওয়া মোবাইলের মধ্যে ফেরদৌসের স্ত্রী-কন্যা সহ সাপখোলা গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক মেয়েদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখতে পান তারা। এঘটনার পর বিষয়টি তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক ভাবে প্রকাশিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি তার দৃষ্টি গোচর হলে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য শৈলকূপা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন, সেই সাথে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযুক্তদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি জুলকার ও জান্নাতি পরিকল্পনা করে মোবাইলে এলাকার ঘুমন্ত মেয়েদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করে, পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের কে ব্লাকমেইল করে, টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এমনটাই জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে শৈলকূপা থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও পুলিশ সুপার জানান।