ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে আন্তঃ বিভাগীয় ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার সামাজিক গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেন জেলা পুলিশ।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি মামলায় ঝিনাইদহে হাজিরা দিতে এসে তারা আবারো ডাকাতি করে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান এই ডাকাত সদস্যরা।
তারা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়ামারা ও পবহাটী গ্রামে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটে তার সাথে জড়িত বলেও স্বীকার করেছে। এদেরকে শনিবার দিবাগত রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর থেকে ৩জন ও ঝিনাইদহ শহরের পাওয়ার হাউস পাড়া থেকে বাকী ৩ জনকে গ্রেফতার করে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ধুলোজোড়া গ্রামের রঙ্গু শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম, কান্দাকুল গ্রামের রমজান শেখের ছেল সুমন শেখ, মালিখালী গ্রামের রঙ্গু মোল্লার ছেলে মতজেল মোল্লা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আব্দুল জলিল, সদর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আখিরন নেছা অরফে শিউলী ও মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে মেরিনা খাতুন অরফে বৃষ্টি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহিন উদ্দীন জানানিয়েছেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হন। এরপর শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে দুই মহিলাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা শহরের পবহাটী গ্রামে ও ঘোড়ামারা গ্রামের দুই বাড়িতে ডাকাতি করে বলে স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, যন্ত্রপাতি ও লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে। ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল নামে এক ডাকাত সদস্য স্বীকার করে যে, তারা সম্প্রতি ডাকাতি মামলার হাজিরা দিতে ঝিনাইদহে আসে। ফিরে যাওয়ার সময় তারা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আবারো ডাকাতি করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বি ১৬৪ ধারায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।