ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে সাংবাদিক এম এ সামাদের বিরুদ্ধে জমি বিক্রয়ের টাকা বায়না নিয়ে রেজিস্ট্রি না করে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টার দিকে সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের উত্তর পাড়া ব্রিজের পাশে এ সাংবাদ সম্মেলন করেন, আনোয়ার হোসেন নামে ঐ এলাকার এক ভূমিহীন শ্রমিক । এসময় তার সাথে ইউপি সদস্য সহ গ্রামের কয়েকশ’ প্রতিবাদি নারী পুরুষ ব্যনার ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেয়।
সাংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২২১ সালের মাঝা মাঝির দিকে সাংবাদিক সামাদ তার বসতবাড়ি থেকে দুই শতক জমিসহ মোট ৬ শতক জমি বিক্রি করবে বলে আমার সাথে কথা হয়। পরে দাম দর ঠিক হলে, দুই মাসের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবে মর্মে ঐ বছরের অক্টোবর মাসে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বায়না নেয়। কিন্তু কথামত দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তিনি জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে বারবার ঘোরাতে থাকে। যেকারণে তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় সাংবাদিক এম এ সামাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন।
এদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর সাংবাদিক সামাদ অভিযোগ তুলে নেওয়ার শর্তে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যে কারণে ভুক্তভোগী আনোয়ার সামাদের কথা সরলমনে বিশ্বাস করেন এবং তার দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। তবে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও সাংবাদিক সামাদ তাকে জমি রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে একেরপর এক ঘুরিয়েই যাচ্ছেন। সেকারণে পুনরায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয় ভুক্তভোগী ঐ পরিবার।
এদিকে সাংবাদিক সামাদ তার বিরুদ্ধে পুনরায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে শুনতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী ঐ পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে কোন লাভ হবে না, কারণ আমি সাংবাদিক। আমি তোমাকে সন্ত্রাসী বানিয়ে দিতে পারি। এছাড়াও ভুক্তভোগীকে হুমকি দিয়ে তিনি আরও জানান যে, তোকে বায়নার টাকা এবং জমি কোনটাই ফেরত দেবনা, দেখি আমার বিরুদ্ধে তুই কি করতে পারিস ? সাংবাদিক সামাদের এমন হুমকিতে দরিদ্র ঐ পরিবারটি টাকার শোকে অসহায় হয়ে পড়েন এবং বিষয়টি জেলার মুল ধারার সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আনতে, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
মানববন্ধনে ইউপি সদস্য মীর কামরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ভুক্তভোগী অসহায় ঐ পরিবারের দাবী পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।