বুধবার ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঝিনাইদহে চেক চুরি করে আদালতে মামলা, বিচার পেতে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

by | আগ ১৪, ২০২৩ | ঝিনাইদহ | ০ comments

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে চেক চুরি করে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, তার ছেলে লুৎফর রহমান সৌদি যাওয়ার জন্য ২০১৭ সালে গ্রামের হুমায়ন কবির পিন্টু ও আসাদুজ্জামান সিটুর কাছ থেকে ফাঁকা চেক দিয়ে টাকা ধার নেয়। বিদেশে যাওয়ার পর তাদের টাকা ফেরতও দেয় লুৎফর রহমান। চেকগুলো ওই গ্রামের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন দিপুর কাছে গচ্ছিত ছিলো। ইউপি সদস্য দিপুর বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগে চেক ২টি চুরি করে নেয় সাগান্না পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পরিদর্শক মহাসিন আলী। সেই চেক ডিজঅনার করে আদালতে ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকার দুইটি আলাদা মামলা দায়ের করে। মিথ্যা এই মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে টাকা ধার দেওয়া পিন্টু, সিটু ও দিপু মেম্বর উপস্থিত থেকে টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হুমায়ন কবির পিন্টু বলেন, আমি লুৎফরকে টাকা ধার দিয়েছিলাম। আমি টাকা পেয়েছি। চেক গুলো আমরা মেম্বরের কাছে জমা রেখেছিলাম। সেখান থেকে চুরি করে মহাসীন মামলা করেছে। এর চেয়ে বড় প্রতারণা কি হতে পারে। আমরা ওই প্রতারকের বিচারক চাই।

ইউপি সদস্য কামাল হোসেন দিপু বলেন, মহাসীনের সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো। সে আমার বাড়িতে আসার সুযোগে চেকগুলো চুরি করে। এখন বলছে সে নাকি টাকা পায়। চেক চুরি করার পর যে তারিখের মামলা দিছে তার অনেক আগে লুৎফর বিদেশ গেছে। এটা খুবই জালিয়াতি করেছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। সেসময় বক্তারা প্রতারক মহাসিন আলীর শাস্তির দাবী করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহাসীন আলী বলেন, আমার কাছ থেকে লুৎফর টাকা ধার নিয়েছিলো। তার মামলা করেছি। তবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে লুতফার কে টাকা ধার দেওয়ার কোন প্রমান বা টাকা ধার নিয়ে চেক দেওয়ার কোন প্রমান দেখাতে পারেনি অভিযুক্ত মহাশিন

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *