ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঁদাবাজির অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার “ঝিনাইদহ জনপদ” নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে এই অপপ্রচার চালানো হয় বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। ঘটনাটি ঘটে সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের বাড়িবাথান বাজারে। জানা গেছে, ঐ বাজারের মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের (সার ও কীটনাশক) দোকানে ইব্রাহিম মিয়া নামে একজন দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। তিনি গত মঙ্গলবার “ঝিনাইদহ জনপদ” নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিও বক্তব্য দিচ্ছেন যে, তাকে মারধর করে ঐ প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করেছে বাড়িবাথান গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জিনারুল ইসলামের ছেলে সন্টু। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে, এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা এবং তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সুমন ট্রেডার্সের ম্যানেজার জানান, আমাদের দোকানে চাঁদাবাজির মত কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, কেউ চাঁদা দাবি করলে আমাদের কাছে করবে অথবা আমাদের মালিকের কাছে করবে কিন্তু আমরা কেউ এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়নি।
ভিডিও বক্তব্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ দেওয়া ইব্রাহিম মিয়া বলেন, গত রোববার রাত ৯ টার দিকে সালাম নামে আমার এক পরিচিতজন মোবাইল ফোনে কুরাপাড়া বটতলায় যেতে বলে। কিন্তু আমি অসুস্থ থাকায় যেতে রাজি না হওয়ায় ভ্যান পাঠিয়ে আমাকে নিয়ে যায়। এর আগে দুপুরের দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির ছেলে মোঃ সন্টু বাজারে এসে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এমনকি রাস্তায় পথচারিদেরও মারতে ধাওয়া করেছে। এঘটনায় দুইজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।এসময় আমিও মার খেয়েছি। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই সন্টুর মানুষিক রোগ দেখা দিয়েছে। যখন মাথায় সমস্যা হয় তখন তার সামনে কথা বললেই এমনটি শুরু করে। এরই সুত্র ধরে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইব্রাহিম আরো বলেন, ঐদিন রাতে সালাম আমাকে ডেকে নিয়ে বলে তুই ভিডিওর সামনে বল সন্টু দোকাকে ঢুকে আমাকে মারধর করে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহিম বলেন, আমাকে মেরেছে বলে আমিও রাগের মাথায় চাঁদাবাজির কথা বলে ফেলেছি কিন্তু এই কথা ফেসবুকে ছেড়ে দেবে এটা আমি বুঝতে পারিনি। ইব্রাহিম বলেন, ফেসবুকে আমার ভিডিও দেখে বুঝতে পারলাম আসলে সন্টুকে ফাঁসাতেই সালাম আমাকে বাড়ি থেকে ভ্যানে করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় সুমন ট্রেডার্সের মালিকের ভাই সুজন বলেন, মিথ্যা চাঁদাবাজির অপপ্রচারে শুধু আমাদের ভাবমূর্তিই নষ্ট হয়নি বরং আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তিও ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এই অপপ্রচারকারীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।