সবুজ মিয়া, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহ জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ৬৮ জনকে নির্বাচিত করে তাদের কে প্রাথমিক ভাবে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলায় লিখিত পরিক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৬৪ জন উত্তীর্ণ হয়, এর মধ্যে মহিলা ১৮ জন বাকি ১৫০জন পুরুষ। রোববার রাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ কমিটি কর্তৃক সাক্ষাতকার গ্রহণ করে ৬৮ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী প্রার্থী। এরমধ্যে রয়েছে নারী সাধারণ কোটায় ৮ জন, নারী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২জন, পুরুষ সাধারণ কোটায় ৪৮জন, পুরুষ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০ জন এবং পুরুষ পুলিশ পোষ্য কোটায় ৩ জন প্রার্থী।
এর আগে “যোগ্যতা যার চাকুরী তার” এ স্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পুরুষ/নারী পদে নিয়োগের জন্য শারীরিকভাবে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হয়।
নিজের যোগ্যতায় চাকরি প্রাপ্ত নারী-পুরুষের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা বলে তাদের অনুভুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে, জেলার শৈলকুপা উপজেলার খালকোলা গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিনের একই সাথে চাকরি পাওয়া দুই ছেলে হাসান ও হোসাইন, একই উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের কৃষক কালোচাদের ছেলে সিজান মাহমুদ, সদর উপজেলার হুদাবাকড়ী গ্রামের মৃত আনিচুর রহমানের ছেলে শাহরিয়ার জোবায়ের, মহেশপুর উপজেলার হামিদ পুর গ্রামের কৃষক আখের আলীর মেয়ে আঁখি তারা বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে জানান, তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই অসচ্ছল যে, নিজের যোগ্যতা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায়ে চাকরি পেতে হলে, আমরা কখনোই পুলিশে চাকরি করার স্বপ্নও দেখতে পারতাম না। তাই কোন আর্থিক লেনদেন ছাড়াই চাকরি পেয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।
রোববার রাতে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই জেলার সচেতন মহল জানান, নিয়োগ প্রাপ্তরা আগামীতে দেশ সেবায় ও কর্ম ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা যাচ্ছে। এছাড়াও তারা ঝিনাইদহ জেলায় পুলিশের এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।