ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে কাঠাল খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও আইনি কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে জানান ভিকটিমের পিতা। বুধবার ( 9 আগস্ট) দুপুরে ভিকটিমের পিতা সাংবাদিকদের জানান, বিগত ২০১১ সালে দুই বছর বয়স চলাকালীন তার ঐ প্রতিবন্ধী শিশুটিকে রেখে প্রথম স্ত্রী মারা যায়। এরপর থেকে মায়ের স্নেহ দিয়েই শিশুটিকে লালন পালন করেছেন তিনি। কিন্তু শিশুটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় লেখা পড়া শেখানো সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, মেয়েটি মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে হারিয়ে যেতো। প্রতিবারই পরিচিত যাদের নজরে পড়েছে তারা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে গেছে। গেলো মাসের ২৮ তারিখে মেয়েটি আবারো হারিয়ে যায়। কিন্তু ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মেয়েটির কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীরের পরিবারের সবাই ঝিনাইদহ শহরে বসবাস করায় গ্রামের বাড়িটি ফাঁকা পড়ে থাকে। গত ৪ আগস্ট জাহাঙ্গীরের ফাঁকা ঐ বাড়িতে বাইরে থেকে সিটকানী মারা একটি রুম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ভিকটিমের পিতা আরো বলেন, পরে মেয়েটির কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি যে, ঘটনার দিন আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে মেয়েটি হাটতে হাটতে জাহাঙ্গীরের বাড়ির পাশে গেলে, লম্পট পারভেজ (২০) তাকে কাঠাল খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঐ বাড়ির একটি রুমে আটকে রেখে প্রতি রাতে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে আসছিল। গত ৪ আগস্ট জাহাঙ্গীর বাড়িতে এসে বাইরে থেকে শিকল মারা ঐ রুম খুললে মেয়েটি ভেতর থেকে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। পরে জাহাঙ্গীর আমাদের খবর দিলে মেয়েটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। লম্পট পারভেজ ছয়াইল গ্রামের কামরুল জোয়ারদারের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সেখ মোঃ সোহেল রানা জানান, ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে, আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।