ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “মেসার্স আক্তার ফার্মেসিতে” ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ঝিনাইদহ জজ কোর্টের জিপি বিকাশ কুমার ঘোষ, আ’লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।যার মামলা নং- ৩৩। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তাদের হাতে থাকা বোমা তার দোকানের সামনে বিস্ফোরন ঘটিয়ে চরম ভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ফার্মেসিতে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে দোকানে থাকা ঔষধ সংরক্ষনের একটি ফ্রিজ, দোকানের লাগানো একটি এসি ও একটি কম্পিউটার তছনছ হয়ে যায়। সেসময় দোকানে থাকা কর্মচারীদের মারপিট করে দোকান থেকে বাহির করে দেয় এবং দোকানের ক্যাশ টেবিল থেকে ঔষধ বিক্রয়ের ১,৫০,০০০/- টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। এছাড়াও দোকানে থাকা সকল ঔষধ পত্র লুটপাট করে ও দোকানের সকল ডেকোরেশন, সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে সর্ব মোট ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এই মামলায় ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম (ফোটন), পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস , সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্র-লীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহমুদ জন সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় আ’লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপুকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো শাহীন উদ্দিন জানান, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আক্তার ফার্মেসিতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।