ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অন্যতম পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলা শহরের আরাপপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ সাংবাদিকদের এক তথ্য বিবরণীতে জানায়, ভিকটিম সিমা খাতুনের সাথে জহুরুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আসামীকে ভিকটিমের বাবা যৌতুক বাবদ নগদ টাকা এবং সংসারের বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদান করেন। পারিবারিক জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পুর্বে আসামী ব্যবসা করার কথা বলে ভিকটিমের নিকট ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের পিতা তার অভাব অনটনের সংসার হতে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান করেন। আসামী যৌতুকের অবশিষ্ঠ টাকা দাবী করিয়া পুনরায় ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। দাবী করা যৌতুকের অবশিষ্ট টাকা না পেয়ে গত ১৩ মে ২০২৩ তারিখ ভিকটিমের সাথে আসামীর বাকবিতন্ডা হয়। তখন ভিকটিম যৌতুকের অবশিষ্ঠ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ধৃত সহযোগী আসামীর সহায়তায় পাষন্ড আসামী তার ভাড়াকৃত বসত ঘরের মধ্যে লোহার হাতুড়ী দিয়ে ভিকটিমকে এলোপাথারিভাবে আঘাত করে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ভিকটিমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে একই তারিখ চিকিৎসারত অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী পাষন্ড স্বামী জহুরুল ইসলামকে র্যাব গ্রেফতার করেন এবং সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগী আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল আরাপপুর বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আত্মগোপনে থাকা সহযোগী অন্যতম আসামী- মোঃ রাসেল(২৮), পিতা- মোঃ হাফিজ,সাং-আরাপপুর,থানা-সদর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
আসামীকে ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।