ঝিনাইদহে রাতের আঁধারে নারী লেলিয়ে দিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহে রাতের আঁধারে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এরপর একজন নারীকে তার কাছে লেলিয়ে দিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার মহারাজ পুর ইউনিয়নের কুলবাড়ীয়া গ্রামে।

জানা গেছে, কুলবাড়ীয়া গ্রামে পলাশ নামে এক ব্যক্তির মাছের ঘের পূনর্খনন করতে এসেছিলেন বরগুনা জেলার জাহিদ নামে এক ভেকু ড্রাইভার। গত রবিবার (২৯ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে কুলবাড়ীর নাজমুল নামে এক ব্যক্তি জাহিদকে ভেকু দিয়ে কাজ করাবে বলে ফোন করে ডাকে। এসময় জাহিদ নামে ঐ ভেকু ড্রাইভার নাজমুলের সাথে দেখা করতে গেলে, এলাকার হুমোদার বিলের দিকে নিয়ে যায় নাজমুল। পথিমধ্যে একটি পুকুরের পাশে গেলে কুলবাড়ীয়া গ্রামের হাকিমের ছেলে রিন্টু, আমিরুলের ছেলে মিরাজ ও বুদ্ধি হোসেনের ছেলে মাহাবুর একটি মেয়ে মানুষসহ লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে তার সামনে হাজির হয়।

ডেকু ড্রাইভার জাহিদ সংবাদ কর্মীদের জানান, সেসময় তারা ঐ মেয়ে মানুষটিকে আমার কাছে এগিয়ে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভিডিও এবং ছবি করে উল্টো আমাকেই জিগ্যেস করে যে, এতো রাতে মেয়ে মানুষ নিয়ে তুই কোথায় যাচ্ছিস। জাহিদ বলেন, এসময় তারা আমার এবং আমার সাথে থাকা হেল্পারের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, আমাকে বেঁধে রেখে হেল্পারের টাকা নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু আমাদের কাছে কোন টাকা না থাকায় মোবাইল ফোন রেখে ছেড়ে দেয়। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার কাজের সাইডের মালিক পলাশকে জানালে, পরের দিন সকালে তাদের কে ৫ হাজার টাকা দিয়ে আমাদের কাছ থেকে রেখে দেওয়া মোবাইল ফোন নিয়ে আসে বলে পলাশ তাকে জানিয়েছে।

বিষয়টি জানতে কুলবাড়ীয়ার ঐ পুকুরের মালিক পলাশ জানান, ঘটনাটি আমার কাছে এমন মনে হয়েছে যে, ভেকু ড্রাইভার বাইরের জেলা থেকে এসে টাকা পয়সা ইনকাম করছে, যে কারণে স্থানীয়রা কিছু ধান্দা করার জন্য এ কাজ করতে পারে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রিন্টু জানান, স্থানীয় কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে সড়োযন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মূলত মাছ চোর ভেবে আমরা তাদের কাছে এগিয়ে গিয়েছিলাম।

এদিকে সাংবাদিকদের কাছে অভিযুক্ত রিন্টু বিষয়টি অস্বীকার করলেও সাংবাদিকদের সামনেই হঠাৎ অন্য কাউকে রিন্টু ফোন করলে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে ওপর দিকে থাকা ব্যক্তির কন্ঠ ভেসে ওঠে। তাতে মোবাইলের অপর দিকে থাকা ব্যক্তির কন্ঠে লাল্টুকে এই বলে প্রশ্ন করছে বলে শোনা যায় যে, গতরাতে তুমি ওদের কাছ থেকে কতটাকা নিয়েছো।

বিষয়টি জানতে ইউপি সদস্য লিটন হোসেন জানান, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, তবে লোক মারফতে আমি শুনেছি।

মহারাজপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এসআই সিহাব জানান, এবিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি বলেন, অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top