সবুজ মিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
আগামী ১৭ই অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন, জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষায়ক সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা ও সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. এম হারুন অর রশিদসহ ৪ জন মনোনায়নপত্র দাখিল করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর আনিছুর রহমান খোকা এবং গতকাল রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
যে কারণে ঝিনাইদহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ড. এম হারুন অর রশিদের ফের ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে। গত ৫ বছর আগেও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে মাত্র কয়েক ভোটের ব্যবধানে কনক কান্তি দাস বিজয় লাভ করেছিলেন।
এবারের নির্বাচন নিয়ে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী কনক কান্তি দাস আশা করে বলেন, তিনি এবারের নির্বাচনে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়ায় জয়লাভ করবেন। তিনি জানান দলের যে দু’জন প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনায়ন দাখিল করেছিলেন, তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ঐ দুই জন নেতাসহ দলিয় নেতৃবৃন্দ তার পক্ষে কাজ করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. এম হারুন অর রশিদ জানান, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি সামন্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি নিশ্চিত বিজয় লাভ করবেন বলে আশা করছেন।
এদিকে ঝিনাাইদহ জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ দলিয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে
ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আব্দুল হাকিম। যে কারণে প্রথমে ইচ্ছা প্রকাশ করে মনোনয়ন জমা দিলেও পরে দুইজন সিনিয়র নেতা তাদের মনোনায়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে করে দলিয় প্রার্থীর জয়লাভের বিষয়ে শতভাগ আশা বেড়ে গেছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায় এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন মনোনায়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে। ফলে সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।