ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি জেলায় কর্মরত রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছেন। শুক্রবার ২২ জুলাই বাদ মাগরিব জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয় পাররা চত্বরে অবস্থিত রফি টাওয়ারের চতুর্থ তলায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এমএ কবির, সম্পাদক শাহিদুর রহমান সন্টু, যুগ্ন সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সবুজ মিয়া, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান, সংবাদপত্র বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন মুক্তি, প্রচার সম্পাদক এসএম রবি, সাবেক সভাপতি মীর জিল্লুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল এনাম পল্লব, সদস্য ওমর আলী সোহাগ, এমদাদুল হক, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, রাজিব মাহমুদ টিপু, বাবু সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মত বিনিময়কালে আব্দুল হাই এম.পি বলেন, সাংবাদিকরা হলো জাতির বিবেক। আমি বিগত সময়ে বিভিন্নভাবে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা পেয়েছি। আগামীর পথ চলায়ও আমি ঝিনাইদহের সকল সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের পাশে সব সময় থাকার আশ্বাস দেন। এসময় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল হাই ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের ফয়জুদ্দীন মোল্লার সুযোগ্য সন্তান। তিনি ১৯৬৪ সালে শৈলকুপার বসন্তপুর হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে ভর্তি হন। এ সময় তিনি কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৯৮ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে আব্দুল হাই ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে জেলা ও শৈলকুপাবাসির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের জন্য আব্দুল হাই একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও অভিভাবক। তার নেতৃত্বে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সুশীতল ছায়াতলে রাজনীতি করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে এবং স্থানীয় একজন সাংবাদিককে প্রভাবিত করে তার কাছে ভুল তথ্য দিয়ে তাদের মন গড়া সংবাদ পরিবেশন করিয়ে তার দীর্ঘ দিনের অর্জিত মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য আব্দুল হাই সাহেব জীবন বাজি রেখেছে, জেল জরিমানা সহ মারধর পর্যন্ত খেয়েছে এবং বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল করে। তবে এমন ভুল সে করিনি যার জন্য তার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লাগতে হবে। এসময় আব্দুল হাই এমপি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তার বিরুদ্ধে করা প্রতিবেদনের পেছনের কারণ ও সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।