নিজস্ব প্রতিবেদক ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহ পৌর সভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে বেশুমার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ পৌর এলাকার আরাপপুরে বহুতল ভবনের বাড়ি নির্মাণসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে জানাগেছে। দীর্ঘদিন তিনি ঝিনাইদহ পৌরসভায় সচিব ও নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন। মাঝে অল্প কিছুদিন শৈলকুপা পৌরসভায় বদলি হলেও তদবীর করে আবারও ঝিনাইদহে ফিরে এসে দুর্নীতির সিন্ডিকেট নিয়ে সক্রিয়ভাবে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন পৌর কাউন্সিলর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কাউন্সিলর প্রতিবেদক কে অভিযোগ করে জানান, পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে মুস্তাক আহমেদকে ১% কমিশন দিতে হয়। তিনি বলেন, মুস্তাক আহমেদের মেয়েকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছেন। প্রতিমাসে তার টিউশন ফিসসহ কলেজের খরচ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দিতে হয় যা তার বেতনের দ্বিগুন। বৈধ উপার্জন থেকে এই খরচ বহন করা কিভাবে সম্ভব বলেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই কাউন্সিলর অভিযোগ করেছেন, মুস্তাক আহমেদের নিজ নামে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল অংকের এফডিআর করা রয়েছে। তার এই সম্পদ অর্জনের বৈধ খাত নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করা হলে তার আরও বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন। মুস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের অনুরোধ করেছেন পৌরসভার কয়েক কাউন্সিলর ও কর্মচারী।