ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
রোগের চিকিৎসা নিতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আসতে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার পথে ছোট বড় গর্ত আর ভাঙা রাস্তায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। ফলে রোগের চিকিৎসার আগেই অনেককে আহত হয়ে জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে হচ্ছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানালেও তারা গত জুন মাসের মধ্যে রাস্তা মেরামতের কথা দিয়েও তা না করাই জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে, এমন কথাই বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিচরণপুর থেকে অটোরিকশায় চড়ে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী। চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানোর আগেই ভাঙ্গা রাস্তায় ছিটকে করলেন তার স্ত্রী। বাধ্য হয়ে চিকিৎসা নিলেন জরুরী বিভাগে। এমনতর ঘটনা প্রতিদিনের জানালেন রোগী ও তার স্বজনরা।
অটোরিকশা চালক মহিদুল জানালেন রোগী নিয়ে হাসপাতালে ঢোকা এবং বের হওয়ার সময় হাসপাতালের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের রাস্তার অবস্থা একই। ওই সময় শুধু নয় হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিং এর সামনে সারা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকে রাস্তা, দুর্ভোগ তখন নিত্যদিনের। ওই রাস্তায় হাসপাতাল মসজিদে মুসল্লিদের যাওয়া আসার সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া যায় না বলে জানালেন অটো রিক্সা চাল মহিদুল।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সৈয়দ রেজাউল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান, রাস্তাটি যেহেতু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এলজিইডির, তাই তারা বহু আগেই তাদের লিখিত এবং মৌখিক জানিয়েছেন। তারা গত জুনের মধ্যেই তা মেরামতের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তা মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছেই।
তবে চলতি অর্থবছরের মধ্যেই এটি মেরামত হলে দুর্ভোগ কমবে বলে সমন্বয় কমিটির মাসিক সবাই উত্থাপন করে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে জানান ডাক্তার সৈয়দ রেজাউল ইসলাম।