ঠিকাদার কর্তৃক ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নারী প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট-

ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌসী বেগমকে ছাতা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহতের অভিযোগ উঠেছে ওই বিভাগের ঠিকাদার কাজী মাহবুবুর রহমান রুনুর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে শহরের তুহিন স্যানিটারীর দোকানের সামনে থেকে এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর দাখিল মাদ্রাসার নব নির্মিত ভবনের ঠিকাদারী কাজ করছেন কাজী মাহবুবুর রহমান রুনু। ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে আছেন ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌসী বেগম। মাদ্রাসার নবনির্মিত ভবনের কাজের মান নিয়ে একাধিকবার কাজী মাহবুবুর রহমান রুনুকে সতর্ক করেন ফেরদৌসী বেগম। বুধবার দুপুরে শহরের তুহিন স্যানেটারীর সামনে ঠিকাদার কাজী মাহবুবুর রহমান রুনুর সাথে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌসী বেগমের দেখা হয়। তখন ঠিকাদার কাজী মাহবুবুর রহমান রুনু তার হাতে থাকা ছাতা দিয়ে উপ-সহকারী ফেরদৌসী বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে।
ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌসী বেগম জানান, আমি মনোহরপুর দাখিল মাদ্রাসার কাজের মান ভালো করার জন্য বেশ কয়েকদিন যাবৎ ঠিকাদার রুনু ভাইকে বলে আসছিলাম। আজ শহরে দেখা হলে তিনি আমাকে ছাতা দিয়ে বেধড়ক মারপিট ও অশালীন আচরণ করে। আমি বিষয়টি আমার দপ্তরকে অবগত করেছি।
ঠিকাদার কাজী মাহবুবুর রহমান রুনু জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌসী বেগম প্রত্যেকটা বিষয়ে টাকা ছাড়া কিছুই বোঝন না। তাকে ছাতা দিয়ে মারধর করা হয়নি, তার হাত থেকে ছাতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক হিমেল জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা বলেছি দোকানদার ও স্থানীয়দের সাথে। তাতে প্রাথমিক ভাবে বোঝা গেছে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তবে মারধর করেছে কি না সেইটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঠিকাদার জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আমি মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানিয়েছি,তদন্ত চলমান রয়েছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top