“তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ” ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএমের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ন ব্যবহারের অভিযোগ!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

দেশে ঘোষিত চলমান লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে গিয়ে ঝিনাইদহে তিন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠছে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জিএম ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বুধবার ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ ভবনে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাদ্দাম হোসেন, সময় টিভির লোটাস রহমান সোহাগ ও গ্লোবাল টিভির এস এম মেহেদী হাসান জিকু তথ্য নিতে যায়। এসময় আনসার সদস্য দিয়ে প্রধান গেট আটকিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণর করা হয়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার লোড শেডিংয়ের তথ্য চাওয়া হলে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেন জিএম ইসাহাক আলী। জানা গেছে, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের অধিনে জেলার ৬ উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লোডশেডিং হচ্ছে। জনগণের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যুতের সরবরাহ কম নাকি কারিগরি ত্রুটি এ বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর দপ্তরে যান। সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে জিএম ইসাহাক আলী বলেন, আমি কোন তথ্য দিব না। প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং দিচ্ছেন আপনি তার কাছে যান। বুধবার লোডশেডিংয়ের তথ্য জানতে আরও কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে গেলে অফিসে যাওয়ার পরপরই তিনি ক্ষুব্ধ হন। তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে অফিসের সরকারি ফাইল ছুড়ে দিয়ে অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালী-গালাজ করতে করতে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন এবং রুমে তালা দিয়ে আনসার সদস্যদের ডাকতে বলেন। এসময় তিন সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে অফিসের অন্যান্যরাও তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে জিএম যে আচরণ করেছেন তা কোন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ হতে পারে না। আমরা তার রুমে বসেই আছি আর তিনি অফিসের মধ্যে নিজেই চিৎকার চেচামেচি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এ দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে আমরা যেন ডাকাতি করতে এসেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী অনুতপ্ত হয়ে বলেন, আমি ভুল করেছি। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top