হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন
গ্যাংরিন (পচনশীল ক্ষত) রোগে আক্রান্ত ৬৭ বছর বয়স্ক মোজাম্মেল হোসেনের দুই পা দুই বছর আগে কেটে ফেলা হয়।এরপর থেকে বিছানায় শুয়ে বসেই জীবন কাটছে তার। স্বামী পরিত্যক্ত কন্যাসহ ৫ সদস্যের পরিবার তার।পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মোজাম্মেলের দুই পা কেটে ফেলার পর থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন ৫ সদস্যের পুরো পরিবার। ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের স্মার্ট ভিলেজ হিজলীর বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেনের নামে একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য তার মেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কোন কোন সহায়তা জোটেনি। অভাব-অনটনকে সাথে নিয়ে কাটছে মোজাম্মেল হোসেনের পুরো পরিবার। আর অসহায় অবস্হায় তিনি বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। মোজাম্মেল হোসেনের ছোট ভাই শাহিনুল ইসলাম অভিযোগ করো বলেন, আমার ভাইয়ের বয়স ৬৭ বছর। এরউপর রোগের কারনে তার দুই পা-ই কেটে ফেলা হয়েছে। বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ভাতার একটা কার্ড তো তার পাওয়ার কথা। কিন্তু দফায় দফায় চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না দিয়েও কোন লাভ হয়নি। মোজাম্মেল হোসেনের বড় মেয়ে শেফালী খাতুন বলেন, স্মার্ট ভিলেজে গনশুনানি হয়েছিন। একজন সচিবও আসছিলেন এখানে। আমার বাবার নামে কার্ড হয়নি এটা বলতে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আমরা পুরো পরিবার খুব অসহায় অবস্হায় দিনযাপন করছি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত দৌলাকে ফোন করা হলে তিনি মোজাম্মেল হোসেনের নাম শোনার পরপরই ফোনের লাইন কেটে দেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শিউলী রানী বলেন, বিষয়টি দূর্ভাগ্যজনক। দুই এক দিনের মধ্যে বয়স্ক ভাতার জন্য তাকে আবেদন করতে বলেন। আমরা এটা দেখব।