নিজস্ব প্রতিবেদক-
ঝিনাইদহ পৌরসভার চলমান উচ্ছেদ কাজ শেষে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজের টাকা চাওয়ায় কর্মীদের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ আসাদুজ্জামান (৫৫) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা একজন সহ মোট ৫ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা হলো, ভুটিয়ারগাতী টিপলেপাড়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে রিপন (৩২) শহরের হামদহ গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে শরিফুল (৪৫), পবহাটি গ্রামের শরিফুল (৫০), ও টিপলেপাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে লাল্টু (২৮)। আসামিদের মধ্যে লাল্টু এবং অজ্ঞাত একজন ছাড়া বাকি তিন জনই পৌরসভার জরিপ শাখায় অধিনস্ত কর্মচারী।
বুধবার শহরের পৌর এলাকার শামীমা ক্লিনিকের আশপাশে অবৈধ স্থাপনা ভাংচুরের কাজ শেষে পরিচ্ছন্ন কর্মিদের (সুইপার) মুজুরীর টাকা চাইতে যেয়ে ঘটনার স্বীকার হলে এ এজাহারটি করেন প্রতিষ্ঠানটির পাম্প মৌহরী ও বর্তমান পরিচ্ছন্নতা কর্মিদের সার্বিক দিক তদারকির দায়িত্বে থাকা মোঃ আসাদুজ্জামান। আসাদুজ্জামান শহরের ধোপাঘাটা গোবিন্দপুর এলাকার মৃত মকবূল হোসেনের ছেলে।
এজাহার ও ভুক্তভোগীর ভাষ্য মতে জানা গেছে, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে কাজ শেষে আসাদুজ্জামান শ্রমিকদের মুজুরী নিতে যায় পৌরসভার জরিপ শাখায়। এসময় অফিস থেকে তারা টাকা না দিয়ে আসাদুজ্জামানের পকেট থেকে শ্রমিকদের মুজুরী দিয়ে দিতে বলেন। এজাহার সুত্রে জানা গেছে, সেসময় আসাদুজ্জামান নিজের পকেট থেকে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করে ১ ঘন্টা পর টাকা নেওয়ার জন্য ফের তিনি জরিপ শাখায় জান। সেসময় পরিকল্পিত ভাবে আসামিরা অফিসের দরজা বন্ধ করে আসাদুজ্জামানকে কিল, ঘুশি মারতে থাকে। একপর্যায় আসাদুজ্জামান অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে রিপন তার বুকের উপর বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে। পরে মৃত ভেবে তারা দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ পর হালকা জ্ঞান ফিরে পেলে আসাদুজ্জামান তার বাড়িতে ফোন করে ঘটনার বিষয় জানালে পরিবারের লোকজন এসে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে ৪জনকে এজাহার ভুক্ত এবং অজ্ঞাত একজনকে অভিযুক্ত করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। তবে কোন কারণ ছাড়াই তার উপর কেন এমন হামলা করা হলো, বা পূর্ব থেকে তাদের মধ্যে কোন শত্রুতা ছিল কিনা এর রহস্য এখনও জানা যায়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সেখ মোঃ সোহেল রানা জানান, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।