প্রেমের টানে ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হলেন স্বর্নারানী

বিশেষ প্রতিবেদক 

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা চরমালিথিয়া গ্রামের শংকর কুমার কুন্ডু ও গঙ্গা রানী কুন্ডুর মেয়ে স্বর্ণারানী কুন্ডু (২০) । এবং
একই উপজেলার বন্দেখালী গ্রামের মোঃ কুরবান আলী বিশ্বাস ও বেদেনা বেগমের পুত্র মোঃ সুরুজ আলী বিশ্বাসের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে স্বর্ণারানী।

দির্ঘ দিন প্রেমের পর তারা ঘর বাঁধা স্বপ্ন দেখে।
অবশেষে তারা ঘর পালিয়ে বিয়ে করে। স্বর্নারানী কুন্ডু মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে নাম রাখে মোছাঃ ফারজানা খাতুন। ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ২০ হাজার টাকা ও স্বর্নের নাকফুল নগদ দিয়ে মুসলিম শরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

এদিকে এ বিবাহে বাধা হয়ে দাড়ায় ছেলে ও মেয়ের পরিবার। কৌশলে স্বর্নার মামা গৌতম কুমার কুন্ডু ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে আটক রেখে জোরপূর্বক স্বর্নার নিকট থেকে কাগজে সাক্ষ্যর করে নেয়া হয় বলে জানান স্বর্না কুন্ডু।
কিন্তু স্বর্না সুকৌশলে মধুখালি থেকে পালিয়ে আবার স্বামী সুরুজের নিকট চলে আসে।

জানা গেছে, সুরুজ ও স্বর্নারানী ঝিনাইদহ কোর্টে হাজির হয়ে এভিডেভিড এর মাধ্যমে স্বর্না রানী কুন্ডুর নাম পরিবর্তন করে মোছাঃ ফারজানা খাতুন। পরে পুনরায় আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

ফারজানা খাতুন বলেন, আমি এখন সাবালিকা আমি ফরিদপুর রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ম্যাথমেটিক্সের ছাত্রী, আমি সম্পুর্ন সুস্থ, আমার বোঝার বয়স হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি কারোর প্ররোচনায় নয়, স্বজ্ঞানে ও নিজের ইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে সুরুজকে বিবাহ করেছি।
আমরা এখন আইনগত ভাবে স্বামী- স্ত্রী। আমরা স্বামী, স্ত্রী হিসাবে ঘর সংসার করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, কেউ আমাদের একে অপর থেকে বিচ্ছেদের কথা চিন্তা করে আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবেন না। আমি আর আমার পরিবার অথবা মা-বাবার নিকট ফিরে যাব না।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top