ঝিনাইদহ সংবাদদাতা-
ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কে এক কিশোরের নিয়ন্ত্রণহীন মোটর সাইকেলের ধাক্কায় মেহেদী হাসান নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য জখম হয়েছে। এসময় পেছনে বসে থাকা ঐ পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী ও দুই বছরের কন্যা শিশু সন্তানও মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত ও হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। মেহেদী হাসান ঝিনাইদহ সদর থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত আছেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ পুলিশ সদস্য সংবাদ কর্মীদের জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর নামক স্থানে আত্বীয় বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মোটর সাইকেলে তেলের সংকট মনে হলে ৯ নং পোড়াহাটি পাম্প থেকে তিনি তেল নিয়ে রওনা করেন। সামনের একটি ইজিবাইকের পিছে পিছে স্লো ড্রাইভ করেই যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ সময়ের কথা চিন্তা করে ইজিবাইকটি ওভারটেক করে ৫/৬ হাত দুরে যায়। তিনি বলেন, এসময়ও তার মোটর সাইকেলের গতি ৩০ কি: মিটারের মধ্যে রেখেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ অপরদিক থেকে নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে রাস্তার ডানে বামে করতে করতে একটি জিক্সার মোটর সাইকেলে এক কিশোর আসছিলেন। কিশোরের নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালানো দেখে তিনি রাস্তার শেষ প্রান্তে সাইট দিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ সদস্য জানান, এরপরেও ঐ কিশোর তার মোটর সাইকেলের ডান হেন্ডেলে এসে মেরে দিলে তার স্ত্রী-সন্তান রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে যায় এবং তিনি মোটর সাইকেলের নিচে পড়ে আটকে থাকেন। পরে পেছনে থাকা ইজিবাইক এসে তার স্ত্রীর মাজার উপর দিয়ে এবং ইজিবাইকের নিচেই চলে যাওয়া দুই বছরের শিশু কন্যা সন্তানের হাতের উপর দিয়ে পেছনের চাকা চলে যায়। এতে অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেও শিশুটির ডান হাত ভেঙে যায় এবং স্ত্রীর মাজার হাড় ভাঙ্গা সহ মাথায় কাটা আঘাত প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে তারা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য আশঙ্কা মুক্ত হলেও স্ত্রী-সন্তান কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে আছে।
অপরদিকে পুলিশ সদস্যের দেওয়া অভিযুক্ত মোটর সাইকেল চালক ঐ কিশোরও আহত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে রোগী অসুস্থ থাকায় অভিযুক্তের নাম ঠিকানা ও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।