মাগুরা থেকে ঘুরে এসে-
মাগুরার সদর উপজেলায় জাহিদ (৫৫) নামে এক ব্যাক্তিকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার
হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মশিউর জোয়ারদারের ছেলে। গ্রামের ৭-৮ জন সন্ত্রাসী দিনে দুপুরে শ্রীরামপুর মাঠের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা কর হয়। সোমবার তার নামাজের জানাযা শেষে নিজ গ্রামেই তাকে দাফন করা হয়েছে। তবে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে এখনও তা জানা যায়নি।
এই হত্যাকাণ্ডের যের ধরে শ্রীরামপুর গ্রামে চলছে পুলিশের সামনেই ভাঙচুর লুটপাট। এতে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, শ্রীরামপুর গ্রামের বিল্লাল, আলফু, কবির, টিক্কা, সালেক, আরজু, চঞ্চলসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ঘর ও আসবাবপত্র। লুট করা হয়েছে অনেকের চাষের গরুও। ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেয়। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আরজু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করতে। সেখানে পুলিশের সামনেই এই ভাঙচুর চালানো হয়। নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পুলিশকে লক্ষ্য করা যায়। মিডিয়াকর্মীরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নারীরা তাদের নিকট থেকে ভিডিও ধারণকৃত ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।
এসময় হত্যা কান্ডের স্বীকার জাহিদের কন্যারা বলেন আমার পিতা হত্যার বিচার আমরা কোনদিন পাব না, তাই এখন যেটা করছি সেটাই ভালো। কিছুটা হলেও মনকে সান্তনা দিতে পারব তাদের কিছু শাস্তি হয়েছে। বেপরোয়া নারীদের বাঁধা দিতে গেলে পুলিশ এবং মিডিয়াকর্মীদের উপর চড়াও হয়। এসময় দেখা যায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ কে লাথি দিয়ে ফেলে দিতে। অসহায় হয়ে পড়ে ভাঙচুর হওয়া বাড়ির শিশু এবং নারীরা।
জাহিদের স্ত্রী এবং তার এক চাচা জানান , আরজু মাতব্বরের নেতৃত্বে এলাকায় এর আগেও অনেক মানুষ সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করে জীবন যাপন করছে। এবার তারা জাহিদকে প্রকাশ্য দিবালোকে মাঠের মধ্যে নৃসংশ ভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো। যা কোন সাধারণ মানুষ করতে পারে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আরজুর নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে হামলার শিকার হয়েছে তারা হলো, স্কুল বাবু, মিলন, মিঠুন, ইউসুফ , জনি, মহব্বত, দিলু মোস্তফা সহ এলাকার ১০-১২ জন সাধারণ মানুষ।
বর্তমান শ্রীরামপুর গ্রামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক মোতায়ন থাকলেও যে কোন মুহূর্তে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।