হরিনাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন
অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি অভিযোগের মিথ্যা মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা,দৈনিক গ্রামের কন্ঠ ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি এবং হরিনাকুন্ডু প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুদিপ্ত সালাম। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে করা তিনটি মিথ্যা মামলা খারিজসহ তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
৫ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ আমলী আদালত এ রায় দেন। সাংবাদিক সুদিপ্ত সালামের আর্থিক ও সম্মানের ক্ষতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী কামরুল আবেদীন শাহীন।
কামরুল আবেদীন বলেন,মিথ্যা মামলায় বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেছেন সুদিপ্ত সালাম ।এ ধরনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে। তবে অবশ্যই মামলা করতে হবে।
তিনি বলেন,মিথ্যা মামলায় দোষীদের শাস্তি ও অর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় মামলা করা যাবে।এই মামলার শাস্তি হচ্ছে ২ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এছাড়া উভয় শাস্তি হতে পারে।
অগ্রণী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ২ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে তৎকালীন শাখা ব্যবস্হাপক শৈলেন কুমার ও কর্মকর্তা সুদিপ্ত সালামের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করে ব্যাংক। এরপর পিবিআই ঋণ জালুয়াতির বিষয়ে এক বিশদ তদন্তে নামেন।মামলার তদন্তে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির বিষয়ে গ্রাহকের নমুনা স্বাক্ষর নিয়ে তা ফরেনসিকে পাঠায় পিবিআই। তদন্তে ঋণ জালিয়াতির কোন প্রমান পাওয়া না যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলায় তারা দুইজন ১ মাস কারদভোগ করেন।
এ বিষয়ে সুদিপ্ত সালাম বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে মামলা করে আমাকে হয়রানি করা হয়েছিলো সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত আমাকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে অগ্রণী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্হাপক নাজমুস সাদাতের উস্কানিতে তিনজন গ্রাহক বাদী হয়ে শাখার সাবেক ব্যবস্হাপক শৈলেন কুমার ও অফিসার সুদিপ্ত সালামের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে তিনটি মামলা করেন।