ঝিনাইদহ-
দেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন। সরকারি কোন ঘোষণা ছাড়াই অচল হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহে। কোন কারণ ছাড়াই ঝিনাইদহের ক্রেতা ও বিক্রেতারা এই এক টাকা ও দুই টাকার কয়েনের লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে প্রায় এক যুগ ধরে। যে কারণে জেলার সাধারণ মানুষের কাছে গচ্ছিত এই কয়েন নিয়ে পড়েছে বিপাকে।
এছাড়া এক টাকার কয়েন না থাকায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক টাকার লেনদেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা মুদ্রার অভাবে ফেরত দিতে না পারায়, কাউকে এক টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। এতে বেশী হিসেবি ক্রেতা- বিক্রেতাদের মধ্যে কোন কোন সময় দন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ, হিসেবি ক্রেতাদের মধ্যে কেউ এক টাকা বেশি দিতে রাজি নয়। আবার হিসেবি বিক্রেতাদের মধ্যেও কেউ এক টাকা কম নিতে রাজি নয়।
এবিষয়ে শুরু থেকেই জেলায় বসবাসরত সচেতন মহলদের নিজস্ব ভেরিফাইড আইডি থেকে বিভিন্ন মন্তব্যের ঝড় তুলতে দেখা গেলেও কান মাথা নাড়তে দেখা যায়নি জেলায় কর্মরত সরকারি দায়িত্বশীলদের। যে কারণে আজ অবধি সমস্যাটি জেলার প্রত্যেকটি নাগরিকের সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন এ সমস্যার জট খুলতে না দেখে, সচেতন মহলের পরামর্শ নিয়ে মাথা নাড়া দিয়ে উঠেছে জেলার ঐতিহ্যবাহী অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “মানবতার ফেরিওয়ালা ব্লাড ব্যাংক গ্রুপ”। সোমবার (২২ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের ডিসি মহোদয় বরাবর এসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চেয়ে এক স্মারকলিপি প্রদান করেন, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তারেক মাহমুদ জ্বয়। তিনি বলেন, ডিসি মহোদয় তাকে আস্বস্ত করেছেন বিষয় ক্ষতিয়ে দেখবেন।
এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম শামীম আহমেদ, সমাজকর্মী ও উদ্যোক্তা সুরভি ইসলাম, খন্দকার নাজমুল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মিঠুন শিকদারসহ অনেকে।