নিজস্ব প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহ পৌরসভার সাব রাস্তার প্রত্যেক প্রবেশ দারে অপরিকল্পিত ভাবে ব্যারিকেড নির্মাণ করায় সীমাহীন ভোগান্তি ও ঝুঁকিতে দিন কাটাতে হচ্ছে পৌরবাসীর। দ্রুত এসকল ব্যারিকেড অপসারণ করা না হলে অগ্নি দুর্ঘটনার পাশাপাশি বড় ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে বলে মনে করছেন সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা।যে কারণে এসকল অপরিকল্পিত কর্মকান্ডের জন্য গাড়ি ঢুকতে না পেরে যদি জনগনের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়, তবে এর দায়ভার পৌর কর্তৃপক্ষেরই নিতে হবে বলে মনে করছেন তারা। জানা গেছে, সদর পৌরসভা কর্তৃক পুরাতন হাট খোলা, কলাবাগান, গোরস্থান, হামদহ, ব্যাপারীপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়কগুলোর পুননির্মাণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে গত কয়েকদিন আগে সড়কের উপর ব্যারিকেড নির্মাণ করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে করে ওই সড়কগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। এ বিষয়ে ব্যাপারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইমরান জানান, কয়েকদিন আগে আমাদের পাড়ায় একটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। কিন্তু রাস্তায় ব্যারিকেড থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারেনি। পরে অন্য রাস্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘুরে আসে। এই সময়ের মধ্যে তাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। এদিকে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করায়, রাস্তার কাজের মান নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবী বর্তমান মেয়র পৌরবাসী কে তিলোত্তমা নগরীর অঙ্গিকার দিয়ে নির্বাচিত হয়ে, গত ১ বছরে কাজের নামে নয় ছয় দেখিয়ে মানুষের চোখে ধুলো মেরে যাচ্ছেন। যা রাস্তার এই ব্যারিকেড দেওয়াই প্রমান করে। তারা মন্তব্য করে বলেন, সাব রাস্তা গুলোতে ভারি যানবহন চলতে না দেওয়াই এর একমাত্র প্রমান ।কারণ পৌরবাসীর বাড়ি ঘর নির্মাণ করতে ইট-বালির ট্রাক চলাচল করলে এই রাস্তা দুই দিনও টিকবেনা এটা জেনেই হয়তো তারা এই ব্যারিকেড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। অপরদিকে সাব রাস্তা গুলোতে ব্যারিকেড দেওয়ায় কঠিন ভোগান্তি ও বাড়ী নির্মাণ সামগ্রি ভেতরে প্রবেশ করাতে খরচ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বলেও তারা দাবী করেছেন।এ বিষয়ে কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা লিটন জানান, আমি একটি বাড়ি নির্মাণ করছি। সড়কে ব্যারিকেড থাকার কারণে নির্মাণ সামগ্রী সরাসরি আনতে পারছি না। এতে করে আমার দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে। অবিলম্বে আমি এই ব্যারিকেড অপসারনের দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন প্রতিবেদক কে জানান, পৌরসভার ২৫টি সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি। খুব দ্রুতই এগুলো অপসারণ করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রকৌশলী কামাল উদ্দিনের কথায় পৌরবাসীর কিছুটা স্বস্তি মিললেও পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল জানিয়েছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, যখন আগুন লাগবে তখন আমার বিশেষ একটি টিম সেখানে কাজ করবে।ঐ টিম সেখানে গিয়ে ব্যারিকেড কেটে ফেলবে। কিন্তু ব্যারিকেড নির্মাণ করে পৌর কর্তৃপক্ষের টাকা অপচয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।