নিজস্ব প্রতিবেদক-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোস্তাফিজুর রহমান রতন নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার শশুর বাড়ির পক্ষে দলবল নিয়ে এসে এলাকাবাসীর সাথে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকাবাসী দিশেহারা হয়ে পুলিশে খবর দিলে, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করেছে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত বুধবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে উপজেলার কাঁচের কোল ইউনিয়নের হামদামপুর গ্রামে। এঘটনায় স্থানীয় এবং তার শশুরালয়ের মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, হামদামপুর গ্রামের মৃত নুরুদ্দিন মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ রাকিবউদ্দিন তার চাচাতো ভাই আব্দুর রউফ মোল্লার নিকট থেকে জমি ক্রয় করে সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন। যার খতিয়ান নাম্বার ৩৬ দাগ নাম্বার ২০৮ জে এল নাম্বার ২৩ মৌজা হামদামপুর। ক্রয় করার পর আনিসুর রহমান নামে একজন জমিটি আমানত করে। তবে আমানত গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আদালত রকিবউদ্দীনের পক্ষে রায় দেয়।
এদিকে জমিটি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভূমি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিস হয়। সালিস মিমাংসা শেষে তাকে জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য অনুমতি দেয়া হয়।
রকিবউদ্দীন জানান, সালিসি অনুমতি পেয়ে আমি সেখানে বাঁধ দিই। কিন্তু গত বুধবার চাচতো ভাই আনিসুর রহমানের জামাই ওসি মোস্তাফিজুর রহমান রতন কুষ্টিয়া থেকে কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে আমার এই বাঁধ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক আমি শৈলকুপা থানার ওসিকে খবর দিলে, তার হস্তক্ষেপের কারণে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান রতন পিছু হাটতে বাধ্য হয়।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সাবেক দুই মেম্বার বলেন, এই ঘটনা আমাদেরকে খুব আশ্চর্য করেছে। জামাই শশুরবাড়ি এসে ওসির ক্ষমতা দেখাতে এসেছে, যা আত্মীয় হিসাবে খুবই জঘন্যতম।
রাকিব উদ্দিনের ম্যানেজার জানান, শুধু বাঁধ কেটে দিতে যাচ্ছিল তাই নই, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন। এছাড়াও হুমকি দিয়ে বলেন যে, আমাকে কি মনে করেছে ? আমি একজন ওসি আমি ওদেরকে দেখে নেব। তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশ হস্তক্ষেপ না করলে হয়তো অনেক ঘটনা ঘটাতেন।
এবিষয়ে কচুয়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওখানে কিছু বাইরের জেলার লোক এসেছিল। তবে তাদের কে এনেছে এবং কিজন্য এসেছে তা বলতে পারবো না। তিনি বলেন, থানার ওসি স্যার বিস্তারিত বলতে পারবেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান নড়াগতী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান রতন প্রতিবেদক কে জানান, এই ধরনের কোন ঘটনাই সেখানে ঘটেনি। তারা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। তবে বাঁধের বিষয়ে অনড় থেকে তিনি বলেন, আপনারা সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসতে পাবেন। তারা আমার শ্বশুরের জমিতেই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে।