ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো রিক্তা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রিক্তা খাতুন উপজেলার ধাওড়া আদর্শ পাড়া গ্রামের মতিন মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লার (৩০) স্ত্রী এবং একই উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে।
রিক্তার স্বজনরা জানান, গত ৫বছর আগে পারিবারিক ভাবে সাগর ও রিক্তার বিয়ে হয়। সংসার চলাকালে তাদের পরিবারে ৪ বছরের একটি মেয়ে এবং দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এর মাঝে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকার একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করে সাগর। পরে জানাজানি হলে সংসারে অশান্তির কথা ভেবে সাগরের পরিবার এবং রিক্তার পরিবার মিলে ঐ মেয়েটির সাথে ডিভোর্স করিয়ে নেয় সাগরকে। এতে সাগর আর রিক্তার পরিবারের প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। সম্প্রতি সাগর ঐ মেয়েটির সাথে পুনরায় কথা বলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ঐ মেয়েটির সাথে কথা বলা দেখে সাগরের মোবাইল থেকে সিমকার্ড বের করে পুকুরে ফেলে দেয় রিক্তা। সেসময় রিক্তাকে বেদম মারপিট করে সাগর। একপর্যায়ে বুধবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে রিক্তার স্বজনদের কাছে খবর দেয় সাগরের পরিবার।
এবিষয়ে সাগরের বাবা জানান, ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে এসে আমি শুনেছি যে, কোন এক জায়গায় সাগরের মোবাইলে কথা বলা নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল। ছেলের স্ত্রীর এমন মর্মান্তিক ঘটনার জন্য তিনি নিজের ছেলেকেই দ্বায়ী করেন।
রিক্তার ভাই তরিকুল সাংবাদিকদের জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেনি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে শৈলকুপা থানায় অভিযোগ করা হবে।
শৈলকুপা থানার ওসি জানান, ধাওড়া গ্রামে একজন গৃহবধুর অপমৃত্যু ঘটেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
০ Comments