ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মাদ্রাসার ম্যনেজিং কমিটি নির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় একটি নির্দিষ্ট প্যানেলকে জেতানোর জন্য, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পক্ষপাতিত্ব করার দায়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়েছে। এরা হলেন, রয়েড়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ কামাল উদ্দিন, প্রতিষ্ঠানটির এ্যাডহক কমিটির সভাপতি বাচ্চু মোল্লা, শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং শৈলকুপা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা মোঃ মামুন খাঁন।
গত রোববার (৪ জুন) প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়া রয়েড়া গ্রামের হুজুর আলী মন্ডলের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আড়ুয়াকান্দি গ্রামের খন্দকার মুজিবর রহমানের ছেলে মুকুল খন্দকার ও রয়েড়া গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান অরফে ডাবলু বাদী হয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে এ মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পূর্বের প্রস্তুতি মোতাবেক নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া শেষে গত ২৯ মে উপজেলার রয়েড়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ অভিভাবক সদস্য হিসেবে ৮জন পুরুষ ও সংরক্ষিত মহিলা সাধারণ সদস্য হিসেবে ১জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন, শৈলকুপা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা মোঃ মামুন খাঁন।
অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্তোষ জনক উপস্থিতে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ হলেও ভোট গণনার সময় তাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট গণনার নামে নয় ছয় করে পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ফলাফল ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট অভিযোগ করা হলেও তিনি এই ফলাফলের উপর প্রভাবিত হয়ে থাকায়, তাদের পোলিং এজেন্টদের সামনে দ্বিতীয় বার ভোট গণনা না করে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে সাফ জানিয়ে দেন। তবে অভিযোগ কারীদের দাবি, সকলের উপস্থিতিতে পুনরায় ভোট গণনা করা হলে তাদের পাল্লায় ভোট সংখ্যা বেড়ে নিশ্চিত জয় লাভ করবেন। তারা এ ফলাফল স্থগিত রেখে পুনরায় গণনার আর্জি জানান আদালতে।
এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ মামুন খাঁন জানান, সকল প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি ও প্রশাসনের সামনেই ভোট গণনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বার ভোট গণনা করলেও একই রেজাল্ট হবে বলে আমি আশা করি।
মাদ্রাসাটির সুপার কামাল উদ্দিন জানান, ভোট গণনার স্থানে আমার থাকার অনুমতি ছিলোনা। যেকারণে আমি ভোট গণনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল দেওয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি।