
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইমরান (২৬) নামে এক প্রার্থীকে গলায় ও পায়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এসময় আহত হয় আরো পাঁচ জন। মারাত্মক জখম অবস্থায় ইমরান ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত ইমরান উপজেলার ২ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের শরাফত বিশ্বাসের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার ঐ স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আব্দুজ্জব্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর তিনটি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। যার ফলে মথুরাপুরের শরাফত বিশ্বাসের ছেলে ইমরান ও একই গ্রামের মৃত ইসলামের ছেলেসহ ৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। অভিযোগ কারির ভাষ্যমতে ঐ স্কুলের সাবেক সভাপতি রূহূলকে জোর করেই স্কুলে দপ্তরী পদে নিয়োগ দিবেন বলে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও তারা লোক মুখে শুনেছেন এই চাকরিটি পাওয়ার জন্য রুহুল এমপি কে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে রেখেছেন। বৃহস্পতিবার স্কুলে হঠাৎ গুজব ওঠে ইমরানের চাকরি হয়ে গেছে। যে কারণে প্রতিপক্ষ সহ্য করতে না পেরে দু’পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরানের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং পরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে প্রথমে স্কুলের দপ্তর স্বপন ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাম দা দিয়ে সোজা ঘাড়ে কোপ মারে। স্বপন যুগিপাড়ার তারাচাদের ছেলে।
পরে মৃত ইসলামের ছেলে রুহুল, আইনাল পিদ্দারের ছেলে ময়ান এবং অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন মিলে তাকে মারপিট করতে থাকে। এতে সে ঘাড়ে ও পায়ে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হলে স্থানীয়রা দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে স্কুল কমিটির বর্তমান সভাপতি ফিরোজ জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর পরই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা যাতে না হয় তার জন্য নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবুও বৃহস্পতিবার এ ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে গেলো। এতে স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, শৈলকুপার আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে যার যন্য পূর্বে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল। যে কারণে এ বিষয়ে হয়তো পুলিশ বাদি মামলা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি মোবাইল রেখে বাইরে গেছেন বলে ছোট একটি শিশু বাচ্চা ফোন রিসিভ করে এ কথা জানান।
শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদি একটি মামলা হলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ সহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মির্জাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার পূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।