রবিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শৈলকুপা হানাদার মুক্ত দিবস, আজ ৮ই ডিসেম্বর:

by | ডিসে ৮, ২০২২ | ঝিনাইদহ | ০ comments

শৈলকুপা পরিক্রমার বরাত দিয়ে সংগৃহীত সাবেক সংসদ সদস্য, বীরমুক্তিযোদ্ধা দবীর উদ্দীন জোয়াদ্দারের লেখা ইতিহাস:

 

ঝিনাইদহ থেকে-

ঝিনাইদহ মুক্ত হওয়ার পরও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ১৫ জন বেলুচ সৈন্য শৈলকুপা ত্যাগ করার পরিবেশ না পাওয়ায় রাজাকারদের নিয়ে পাক সেনারা বিভিন্ন বাংকারে অবস্থান করতে থাকে। এ সংবাদে মুক্তিযোদ্ধারা ও বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে থানার চারদিক ঘিরে ফেলে। পুর্বে অবস্থান গ্রহণ করে রহমত আলী মন্টু, ওস্তাদ বিশারত আলী, আবেদ আলি, সাইদুর রহমান ও মনোয়ার হোসেন প্রমুখ। পশ্চিমে কাজী আশরাফুল আলম, সুবেদার আব্দুস সাত্তার, মাহবুবুল হাসান ও দবির উদ্দিন জোয়ার্দার। উত্তরে জিয়াউল বারী নোমান, জোহা, বাবলু প্রমুখ। দক্ষিণে অবস্থান নেয় আবু আহমেদ সোনা মোল্লার বাহিনী, পরবর্তিতে গোলাম মোস্তফা, আব্দুল হাই , মকবুল হোসেন প্রমুখ যোগ দেয়, একটানা চব্বিশ ঘন্টা যুদ্ধে রাজাকার পাকসেনারা দুর্বল হয়ে পড়ে । এদিকে রহমত আলি মন্টু রাজাকার কমান্ডার নওশেরের মামা চতুড়া গ্রামের ইয়াকুব আলি বিশ্বাসকে থানায় পাঠিয়ে আত্মসমর্পনের জন্য বলা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা রাজী না হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের মুহুর্মুহু আক্রমনে হাইস্কুলে অবস্থিত রাজাকারদের বাংকার ক্ষত বিক্ষত হলে ঐখানের রাজাকাররা ভয়ে আত্মসমর্পন করলে অন্যরাও আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার জয় বাংলা স্লোগানে শৈলকুপা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে, ইতোমধ্যে পাকসেনা ও রাজাকারদের খালকুলা ওয়াপদা সেডে আটক রাখা হয়। পরবর্তিতে ভারতীয় সেনাদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ঐ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছিল তা এক স্মরণীয় ঘটনা।

 

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *