ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলতে যেয়ে দরজার একটি সিটকানি ভেঙে ফেলায়, স্কুলটির সমস্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের একসাথে লাইন দিয়ে দাড় করিয়ে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। এতে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে বাড়িতে ফিরে তাদের বাবা মায়ের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় মার খেয়ে কেউ কেউ পেসাব করে ফেলেছে, আবার কারো কারো গায়ে জ্বর এসে গেছে বলেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বক্তব্যের মধ্যে উঠে এসেছে।
গতকাল বুধবার জেলার শৈলকুপা উপজেলার গোলক নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন যে, সামান্য বিষয় নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মারধর করে আহত করতে পারে যে শিক্ষক, সে শিক্ষকের কাছে তাদের সন্তানরা নিরাপদ থাকতে পারে না। তারা আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস হোসেনের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে শিক্ষার্থীরা আর স্কুলে যেতে চাচ্ছেনা এবং সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত অভিভাবকরাও ঐ স্কুলে আর পাঠাতে চাচ্ছেন না তাদের সন্তানদের। তবে স্কুলের নিরাপদ শৃঙ্খলা ফিরে পেতে প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস হোসেনের অপসারণের দাবি জানিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে সরকারি আইন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মারধর করা নিষেধ আছে বলে স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস হোসেন। তবে সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর এমন অমানবিক নির্যাতন কেনো করা হলো, এ প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দোষ ত্রুটি ধরে তিনি এড়িয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস হোসেনের বিরুদ্ধে একক আধিপত্য বিস্তার করা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নিয়ে গত ১ বছর মিটিং না করা এবং অন্যান্য স্কুলে চাকরি করা কালীন সময়েও তার বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইসরাইল হোসেন জানান, আমি মোবাইলের মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। আমরা আগামী রোববার সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবো। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।