হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ফেসবুকে’ ভুয়া আইডিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে। এইসব ভূয়া আইডি থেকে হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিকে নিয়ে মানহানিকর পোস্ট দেওয়াসহ নিয়মিতভাবেম সরকারবিরোধী পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্হানীয় সচেতন মহল।
জানা গেছে, সারাদেশে নামে বে-নামের ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে অসংখ্য, এর মধ্যে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা ও এর ব্যতিক্রম নয়। হরিণাকুণ্ডুতে আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে ফেক আর্ইডির সংখ্যা। এসব আইডি থেকে সম্মানহানির ঘটনাও ঘটছে অহরহ,বাড়ছে স্বামী সংসারে অশান্তি, বন্ধু বান্ধবের সংঘাত। বর্তমানে এই উপজেলাতে “আকাশ মিয়া, নিউ ঝিনাইদহ” সত্যের পথিক’, ‘সিনথিয়া মেঘা, ‘অনুসন্ধান ঢিভি হরিণাকুণ্ডু’সহ বিভিন্ন নামের নানা ফেক আইডি’র ছড়াছড়ি। এইসব আইডি থেকে বিভিন্ন আপত্তিকর পোস্টে বাড়ছে জনমনে আতংক। উগ্রবাদী স্ট্যাটাস এবং কপি পেস্ট সংবাদ সংগ্রহ করে ঝিনাইদাহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আপামর জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দিয়েই চলেছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বে-নামের ফেক আইডিগুলো নানারকম উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। শিগ্রহী এসব ফেক আইডিগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহব্বান জানান এলাকার সচেতন মহল।
উপজেলার সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা জানান, খুব দ্রুত সংবাদ পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম ফেসবুক। এখনই এসব নকল আইডি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ফেসবুকের প্রতি গ্রহন যোগ্যতা হারিয়ে যাবে। বঞ্চিত হবে সঠিক তথ্য থেকে। ফেক আইডিতে ভুল সংবাদের কারণে চরম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। সাংবাদিকের আইডিতে সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠ্য সংবাদ পাওয়া যায় বলেই এখনো ফেসবুক ব্যবহার করছি। এসব ফেক আইডিগুলোর বিরুদ্ধে এখনই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কঠোর প্রয়োগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবী জানান।
এখানেই শেষ নয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের কারণে বিগত ২৯-০৮-২০২৩ ইং তারিখে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক ভুক্তভোগী।
এদিকে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, উপজেলায় আমরা বেশকিছু ফেসবুক ফেক একাউন্টের অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিগ্রহী এদেরকে চিহ্নিত করা হবে। অতি দ্রুত এসব ফেক আইডি’র মালিকদের ধরে শাস্তির আওতায় আনা হবে।