মঙ্গলবার ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে সরকারি ড্রেনেজ খালের জমি অবৈধ দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ 

by | জুন ২৭, ২০২৪ | ঝিনাইদহ | ০ comments

হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন –

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার পার্বতীপুরে মৎস বাজার সংলগ্ন সরকারি ড্রেনেজ খালের জমি অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার শুড়া-পার্বতীপুর নামক স্থানে অবস্থিত মৎস বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সরকারী খালের মাঝ বরাবর গাইড ওয়াল দিয়ে মাটি ফেলে খাল ভরাট করে খালকে মেরে ফেলা হয়েছে। ঐ জমি দখল করে বাজারের আয়তন বাড়ানোসহ ঐ স্হানে দোকান নির্মাণের পায়তারা করছেন স্হানীয় পৌর মেয়র ফারুক হোসেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই খালের অর্ধেকের বেশি অংশ দখল করায় খালের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পৌর মেয়র ফারুক হোসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাথে গোপনে আতাত করে গাইড ওয়াল দিয়ে খাল দখল করেন। স্হানীয়রা একাধিকবার বাধা দিলেও তা কোন কাজে আসেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্হানীয় বাসিন্দা জানান, সরকার আমাদের চাষাবাদের জমিতে সেচ সুবিধার জন্য খাল খনন করেন। কিন্তু বিভিন্নভাবে এই খালকে মেরে ফেলা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে মৎস বাজার এলাকায় খালের মাঝ বরাবর গাইড ওয়াল দিয়ে খালকে সরু করে ফেলা হয়েছে। ৭৫ ফিট খালের ঐ অংশে ১০ ফিট জায়গাও রাখা হয়নি। এতে জমিতে সেচকার্য সহ মৎস চাষও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে ঐ বাজারের মৎস ব্যবসায়ী ও ১ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর নিখিল চন্দ্র বলেন, খালের জায়গা দখল করা হয়েছে এটা সত্য। তবে বাজার বড় করার স্বার্থেই হয়তো এটা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তো আর আমরা জড়িত নয়। পৌর মেয়রই ভালো বলতে পারবেন।

পৌর মেয়র ফারুক হোসেন বলেন, দেশের সব নদ-নদী খাল বিল দখল হলেও তা নিয়ে কোন কথা নেই অথচ কয়েকহাত খাল দখল নিয়েই আপনাদের সমস্যা হয়ে গেল। এটা বাজারের উন্নয়নের স্বার্থেই করা হয়েছে। এ বিষয়ে নাড়াচাড়া করার দরকার নেই। খালের মাঝ বরাবর গাইড ওয়াল দেওয়ার বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে কোন অনুমতি নিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে পৌর মেয়র উত্তেজিত হয়ে বলেন, এটা আপনারা পানি উন্নয়ন বোর্ডেই খোঁজ নেন।

এ বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *