হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তন্ময় (১৭) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে গুরুতর ভাবে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে পৌরসভাধীন প্রিয়নাথ স্কুলের চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত,তন্ময় হরিণাকুণ্ডু পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের উপজেলা পরিষদের মসজিদ পাড়া গ্রামের মোঃ নজির উদ্দীন এর ছেলে।
তন্ময় এর মা মরজিনা খাতুন জানান,আমার ছেলেকে যেভাবে হাত পা বেঁধে মেরেছে তা ভূলবার নেই। এমন কোনও যায়গা নেই যা ক্ষতের আঘাত নেই। আমি এর সুষ্ঠ্যু বিচার চাই।
তন্ময় সাংবাদিকদের জানান,বেশকিছুদিন আগে এদের সঙ্গে আমার বন্ধুদের কথা-কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে গত মঙ্গলবার তন্ময় ও তার বন্ধু রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে প্রিয়নাথ স্কুলের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে ঘুরাঘুরি করে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম এসময় মৃত্যু আকবর চেয়ারম্যানের ছেলে সজীবের নেতৃত্বে সমীক পিতা আকুল স্টাম্প ভ্যাণ্ডারী গ্রাম হরিণাকুণ্ডু বাবুপাড়া,ঊঠতি বয়সী ছেলেরা বীভাণ পিতা মিজানুর গ্রাম বোয়ালীয়া, সাবাব পিতা ইউনুস উপজেলা টাওয়ার পাড়া(পৌর), আসলাম পিতা পিন্টু মালিতা গ্রাম বৈঠাপাড়া ও সাজিদ পিতা আবু আসাদ টুনু গ্রাম হরিণাকুণ্ডু হঠাৎ পাড়াসহ ৫/৭ জন মোটরসাইকেল থামিয়ে ঘিরে ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় প্রিয়নাথ স্কুল চত্বরে এবং একটি সংঘবদ্ধ কিশোর চক্রটির বাহিনী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হকস্টিক,রড,জিয়ায় পাইপ (স্টীল পাইপ) রড ও লাঠি-সোঁটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।এদিকে তন্ময়ের ডাক চিৎকার শুনে স্হানীয় লোকজন ও পথচারীরা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।এলাকাবাসী জানায়,উঠতি বয়সী কিশোরেরা সমীকের কারণে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয় ও পথচারীরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় তন্ময়কে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। তন্ময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই হাসপাতালের ওয়ার্ডের কেভিনে চিকিৎসাধীন আছে।অপর দিকে নবনির্বাচিত হরিণাকুণ্ডু পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের পৌর সাধারণ সম্পাদক নিশতিয়াক আহম্মেদ সজীব ঘটনার সত্যতা স্মীকার করে জানান,সাজিদ আমার ভাস্তে হয়। মারামারির ঘটনাটা আমি মোবাইলের মাধ্যমে শুনেছি। যায় হোক এই ঘটনাটা আসলে অত্যন্ত দুঃখজনক।
হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার খন্দকার গণি আমিনা জানান,গত মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ৮ ঘটিকায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা রুগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। রুগীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষত আছে তবে,বর্তমানে রুগীর অবস্থা ভালো আছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ বিষয়ে থানায় এখনো পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি। তবে পুলিশ প্রশাসন অত্যান্ত তৎপর আছে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাবিক থাকে।