হরিণাকুণ্ডুতে স্বামীকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়ে প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেলেন স্ত্রী

হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন-

ঝিনাইদহে স্বামীকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। যাওয়ার সময় নিয়ে গেছেন প্রবাসী স্বামীর কয়েক লাখ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসি ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামে। প্রেমের টানে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর নাম মুক্তা খাতুন। তিনি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসি ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের প্রবাসী কাশেম আলীর স্ত্রী এবং একই উপজেলার জোড়াদহ ইউনিয়নের বেলতলা মন্ডলপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে তিনি।

জানা যায়, তার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে প্রবাসে থাকতেন। গত কিছুদিন আগে তিনি বাড়িতে এসেছেন। তার সাথে সংসার চলাকালীন সময়ে মুক্তা খাতুনের গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় । বর্তমানে নতুন প্রেমিকাকে নিয়ে ৪ মার্চ দিবাগত রাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মুক্তা। তার প্রেমিকের নাম সবুজ আলী (৩২), গ্রামের বাড়ি শড়াতলা গ্রামে। এলাকায় তার জনশ্রুতি আছে। তিনি একজন পশু চিকিৎসক। তার পিতাও একজন গ্রাম্য ডাক্তার। এটি একটি জঘন্যতম অপরাধ, এদের বিচার হওয়া উচিৎ বলে জানান, চারুমননেছা মাধমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ফজলুর রহমান।

মুক্তা খাতুনের পুত্র ও শাশুড়ী সুত্রে জানা গেছে, শরবতের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে কাশেমকে খাওয়ায়। পরবর্তীতে কাশেম ঘুমিয়ে অচেতন অবস্থা রেখে রাতের আধারে মুক্তা পালিয়ে য়ায়।

প্রেমের টানে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূ মুক্তা খাতুন ও তার প্রেমিক পশু চিকিৎসক সবুজ আলী’র মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তাদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সবুজ আলী’র প্রথম স্ত্রী এক সন্তানের জননী। একজন গ্রাম্য পশু ডাক্তারের এধরনের জঘন্য অপরাধ কখনো ক্ষমা করা যায়না বলে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্বাবী করেন, উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার টুটুল হোসেন।

হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশের এস আই গিয়াস উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এব্যাপারে গত ৪ মার্চ থানায় একটি অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

হরিনাকুন্ডু থানার ওসি জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম। ছেলে ও মেয়ের উভয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top