হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইনঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে শিশির নামে এক যুবক তার দুর সম্পর্কের এক ভাগ্নির সাথে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শিশির উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ ঠাণ্ডু মণ্ডলের ছেলে এবং বাংলালিংক সিম কোম্পানির এসআর হিসেবে কর্মরত আছে বলে জানা গেছে। ভিকটিম বখাটে শিশিরের আপন ভগ্নিপতির ভাগ্নি হয়। সেই সুবাদে শিশিরেরও ঐ যুবতী সম্পর্কে ভাগ্নি।
সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম সম্পর্কে ভাগ্নি হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় প্রেমের অফার দিয়ে আসছিল বখাটে শিশির। কিন্তু সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি হওয়ায় বরাবরই ডিনাই করে আসছিল ভিকটিম। এক পর্যায় শিশির ভিকটিম কে বিভিন্ন ছলনায় বুঝিয়ে প্রেম করতে বাধ্য করে। ভিকটিমের ভাষ্যমতে এই প্রেমের সুত্র ধরে তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একপর্যায় শারীরিক সম্পর্ক করতেও বাধ্য করে শিশির। এভাবে প্রায় ৪/৫ বছর ধরে তাদের এ সম্পর্ক চলে আসছিল। লজ্জা ও ভয়ে কারো কাছে বলতে না পেরে নিরবে এ নৃশংস অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে তাকে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায়না ভেবে শিশির কে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে ভিকটিম। এরপর থেকে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় শিশির। একপর্যায় গত ১৩জুলাই শিশিরের বাড়িতে এসে ভিকটিম খোঁজ নিয়ে দেখে অন্য কাউকে নিয়ে সংসার করছে শিশির। তখন নিজেকে আর ধরে রাখতে না পেরে শিশিরের বাড়িতেই গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ভিকটিম। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করেন। পরে অবস্থার অবনতি দেখে ১৪ জুলাই বিকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
সুত্রে এমনটি জানা গেলেও স্থানীয় ওয়াজেদ আলী মণ্ডলের ছেলে খোকন সাংবাদিকদের জানান, ভিকটিম বিয়ের দাবী নিয়ে ৩ রাত এক দিন শিশিরের বাড়িতে অন্বষণ করেন বলে তিনি শুনেছেন। ভাগ্নির সাথে এমন ঘটনা মানতে রাজি নয় এলাকার আবুল কালাম আজাদ, সবুজ মণ্ডলসহ আরও অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত শিশিরের বাড়িতে প্রতিবেদক গেলে খোঁজ মেলেনি তার। বন্ধ পাওয়া যায় ফোন নাম্বারও। কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত আমি পুরা ঘটনা জানিনা। তবে পরস্পরের মাধ্যমে শুনেছে বলে তিনি জানান। এমন ছেলের পরিচয় দিতে ঘৃনা করেন শিশিরের বাবা। তিনি বলেন, ঘটনাটি যদি আমি আগে থেকে জানতে পারতাম তাহলে ওদেরকে আমি বিয়ে দিয়ে দিতাম। যে, ছেলে পরিবারের সম্মান জ্বলান-জ্বলি দিতে পারে তাকে তৈজসপত্র করা উচিৎ বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান রোগী এখন আশঙ্কামুক্ত। হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কোন পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়নি।