ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালামের একক আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে, স্কুলের তিনটি শুন্য পদে অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বিতর্কিত এ নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটি করেন, ঐ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর ছিদ্দিক ও প্রতিষ্ঠানটির আরেক সদস্য…..
বুধবার সরেজমিনে স্কুলটিতে গিয়ে জানা যায় যে, স্কুলটির তিনটি শুন্য পদে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ও ১৮ই ডিসেম্বর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৬ জুন এ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হয়।
নিয়োগ দেওয়ার পরপরই ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে শুরু হয় বিতর্ক। একপর্যায়ে এ বিতর্কের জের কোর্টে গিয়ে পৌঁছায়।
ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিয়োগের পূর্বে এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুলে একটি মিটিং করা হয়। কিন্তু মিটিং এর সিদ্ধান্ত তাদের মনমতো না হওয়াই রেজুলেশনে সিগনেচার না করে তারা স্কুল থেকে বাড়িতে চলে আসে। তারা বলেন, পরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তাদের সিগনেচার জাল করে, ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন। এতে করে প্রকৃত মেধাবীরা এই নিয়োগ বাণিজ্যের কাছে হেরে গেছে। যেকারণে এই নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
সই জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, মিটিং এর দিনে অন্যান্য সদস্যরা সিগনেচার করেননি এটা সত্য, তবে পরের দিন তারা সিগনেচার করেছে।
জানতে চাইলে স্কুলের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি কোন অনিয়ম করে নিয়োগ দেয়নি। মিটিং এর দিনে কয়েকজন সদস্যের দাবি ছিল তাদের প্রার্থী নিতে হবে। তাদের দাবী রাখাতে পারিনি বলে তারা এই নিয়োগ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, নিয়োগে কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। তবে গোপনে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।