ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চিহৃিত সুদে ব্যবসায়ী বাকেরুজ্জামানের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন সাইদুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী পরিবার। তিনি পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে।
ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ডে আমার ইলেকট্রনিক ও বিকাশ এজেন্টের দোকান ছিলো। ২০১৩ সালে আমার ব্যবসায়ীক কাজের জন্য নগদ টাকা প্রয়োজন হলে আমি ও আমার স্ত্রী মোছাঃ বিউটি আক্তারের স্বাক্ষরিত সাদা ষ্ট্যাম্প ও ৩টি চেকের পাতা জমা রেখে বাকেরুজ্জামানের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিই। টাকা গ্রহন করার পর ৬ বছরে আমি বাকেরুজ্জামান কে সুদের টাকাসহ ২৩ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করি। টাকা পরিশোধ করার পরও বাকেরুজ্জামান আমার গচ্ছিত ষ্ট্যাম্প ও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো আরো টাকা দাবী করে।
আমার স্বাক্ষরিত সাদা চেকে নিজের মতো ৯ লক্ষ ৩০ হাজার ও আমার স্ত্রীর স্বাক্ষরিত সাদা চেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লিখে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর নামে ২টি চেকের মামলা করে।
এই মামলায় আমি ও আমার স্ত্রী বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে আসার পর থেকে বাকেরুজ্জামান পুনরায় আরো টাকা দাবী করে চাপসৃষ্টি করাসহ খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বাকেরুজ্জামানের ভয়ে স্ব-পরিবারে বাড়ি ঘর ছেড়ে ঢাকাতে গিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছি। দেড় বছর আগে আমার পিতা মৃত্যু বরণ করায় আমি স্ব-পরিবারে পিতাকে দেখার জন্য ঢাকা থেকে বাড়ীতে যেয়ে আমার পিতার দাফনে শরিক হই। পিতার দাফন কাফনের পরের দিন সন্ধ্যায় বাকেরুজ্জামান আরও কিছু সুদেকারীদের নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়ীতে এসে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দাবী করে। এসময় টাকা না দিলে আমাদের স্বামী স্ত্রীকে তুলে নিয়ে খুন জখম করবে বলে চাপসৃষ্টি করে। তখন আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে ৩ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে আমাদের তুলে নিয়ে খুন করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। ঐ দিন রাতেই আমরা বাড়ী থেকে আবার ঢাকাতে পালিয়ে যায়। বর্তমান ঢাকাতে অতিকষ্টের সাথে দিন কাটাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এই সুদে ব্যবসায়ীদের ভয়ে আমরা গ্রামের বাড়ীতে যেতে সাহস পাচ্ছিনা। আমরা এই সুদ কারবারি হাত থেকে বাঁচতে আপনাদের লিখনির মাধ্যমে আইনের সাহায্য কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাহিদুল এনাম পল্লব, সাধারণ সম্পাদক ওমর আলী সোহাগ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাপ্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সবুজ মিয়া, সাংবাদিক বাবলু মিয়া, সুলতান আল একরাম, আবুল হাসানসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।