ডেস্ক রিপোর্ট-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক সময়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসা যুবলীগ নেতা বাবলুর রহমান ওরফে ঘ্যানা এখন বিএনপির ছত্রছায়ায় এলাকার আতঙ্ক হয়ে উঠার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ঐ এলাকার সাধারণ জনগণের পিছু হটছে না ভোগান্তি! সাধারণ জনগণের আতঙ্ক হলেও তিনি কোন অদৃশ্য কারণে ক্ষমতাসীনদের চোখের মনি হয়ে ওঠেন, তা এলাকাবাসীর কাছে আজও অজানা।
এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, গত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ঘ্যানা ছিল বিএনপি পন্থিদের আতঙ্ক। পট পরিবর্তনের সাথে সাথেই তিনি ভোল্ট পাল্টিয়ে বিএনপির এক নেতার চোখের মনি হয়ে উঠেছেন। এখন তিনি তার পেটোয়া বাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগ পন্থীদের একটি গ্রুপের উপর নির্যাতন, জুলুম, অত্যাচার এমনকি তাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে বাড়ি ছাড়া করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ১৬ মে বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল মোল্লার সাথে ভুক্তভোগীদের কথা বলাকে কেন্দ্র করে তাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় ঘ্যানা বাহিনী। পরে বাড়িতে টিকতে না পেরে প্রায় ১০/১৫ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা সবাই অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এসময় সন্ত্রাসীরা বছির মন্ডলের বাড়ি থেকে ৩টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও অন্যান্য বাড়ি থেকে ৪টি বাই সাইকেলও লুট করে তারা। পরে আকরাম মোল্যার স্ত্রী ও সন্তানকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করলেও তাদেরকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে আহত ঐ নারীকে তার ভায়েরা উদ্ধার করে পিত্রালয়ে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এর আগে লুটপাটের ঘটনাটি কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘ্যানা বাহিনী পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে গোপালপুর গ্রামের মনিরুল মোল্যা ও জাফর মোল্যা স্থানীয় কোলা বাজারে ধান বিক্রি করতে নিয়ে যাবার পথে ঘ্যানা বাহিনী সেই ধান লুট করে। স্থানীয়রা ধান লুটের ঘটনাটি ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পে জানালে র্যাবের হস্তক্ষেপে ধান উদ্ধার হয়। গত ১৬ মে উপজেলার জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকায় প্রতিবেদন দেখা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঘ্যানা বাহিনীর এই আতঙ্ক থেকে এলাকাবাসীদের স্থায়ী কোন সমাধান মিলছেনা। তারা এলাকায় শান্তিতে বসবাস করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাবলু ওরফে ঘ্যানার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এক যুবদল নেতার কাছে ফোন হস্তান্তর করেন। যে কারণে আত্মপক্ষ থেকে কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ঐ যুবদল নেতা ঘ্যানার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। তিনি বলেন, একটি গুরুপ এলাকার আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবো।