জালালপুর দাখিল মাদ্রাসায় ৩০ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের কোটচাদপুরের জালালপুর দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির শুন্য পদে সুপার ও সহকারী সুপার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, মাদ্রাসাটির দুইটি পদে চাকরি প্রত্যাশী অন্যান্নদের অভিযোগ “সুপার” পদে হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ১৫ লাখ ও জামির হোসেন নামে একজনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে “সহকারী সুপার” পদে সিলেক্ট করা হয়েছে। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির চাহিদা মাফিক টাকা দিতে না পারায় এবং টাকার বিনিময়ে আগে থেকেই প্রার্থী সিলেক্ট করে রাখায়, আবেদন কারীদের মধ্যে অধিকাংশরাই পরিক্ষা দিতে আসেননি। যে কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নির্ধারিত নিয়ম ফলো করতে প্রক্সি কেন্ডিডেটের মাধ্যমে কোরাম পুরিয়ে নিয়োগ কাজ সম্পন্ন করা হয়।

এদিকে বিতর্কিত এ নিয়োগে আগে থেকেই ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রার্থীদের নাম সঠিক কিনা, তা জানতে পরীক্ষার ফলাফল দেখার জন্য অধির আগ্রহে বসে থাকা স্থানীয় সচেতন মোহল ও উৎসুক জনতার চোখ ফাঁকি দিয়ে ফলাফল প্রকাশ না করেই পালিয়ে যান, মাদ্রাসার সভাপতি মাজেদুর রহমান ওরফে মজিদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য জানায়, কমিটির সভাপতি মাজেদুর রহমান স্থানীয় নেতাদের সাথে যোগসাজশ করে কমিটির অন্য কাউকে তোয়াক্কা না করেই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ দিয়েছেন। তারা বলেন, এ নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেই সাংবাদিকদের সামনে ফলাফল প্রকাশ না করে পালিয়ে গেছেন সভাপতি।

ঢাকা থেকে আসা ডিজি’র প্রতিনিধি নিয়োগ কার্যক্রম শেষে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ আছে বলে চলে যান। সেসময় সাংবাদিকরা পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ফলাফল বোর্ডে টানিয়ে দেওয়ার কথা বলে দিয়েছি।

এদিকে ডিজির প্রতিনিধি পরীক্ষার ফলাফল বোর্ডে টানিয়ে দেওয়ার কথা বলে গেলেও পূর্বেই ফলাফল কি হবে তা ফাস হয়ে যাওয়ায় এবং জনগণের তোপের মুখে পড়ার ভয়ে রেজাল্ট না দিয়েই পালিয়ে যান তিনি।

এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাজেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। তিনি বলেন, আপনাদের যা কিছু জানার এমপি মহোদয়ের কাছে জেনে নিন। প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আগে থেকেই তাদের কে সিলেক্ট করে রাখার প্রশ্নে তিনি কৌশলে উত্তর এড়িয়ে যান।

বিষয়টি জানতে ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল জানান, আপনারা জানেন যে, কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হলে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দেয়া হয়। ঐ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কোন দায়িত্বে আমি নেই। অতএব ওখানে আমার নাম আসার কোনো প্রশ্নই আসেনা। আপনি যা বলছেন যদি এমনটি হয়ে থাকে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top