ঝিনাইদহে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কমিটি প্রকাশ; সভাপতি সজিব হোসেন, সম্পাদক সাজিদ মাহমুদ
সবুজ মিয়া ঝিনাইদহ-
“কিশোর বিদ্রোহ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিসআ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ঝিনাইদহ জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ মেহেদী দীপ্ত, সাধারণ সম্পাদক তানজিদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাইম আল ইসলামের যৌথ সাক্ষরিত ১বছর মেয়াদি এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ প্রান্তিক শিশু পার্ক মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন নতুন এই কমিটির নেতৃবৃন্দ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ ও ঝিনাইদহ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান।

এ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয় সজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাজিদ মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রেল আব্দুল্লাহ।

জেলা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নতুন কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমরা লক্ষ করে আসছি যে, রাস্তা ফাঁকা পেলেই ইচ্ছেমতো গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাবটা এমন যে, আকাশে উড়ে যাবেন। বাইরের দেশের হাইওয়েতে গতিসীমা লঙ্ঘনকারী যানবাহনের জন্য তাৎক্ষণিক জরিমানা করার প্রযুক্তিগত কাঠামো আছে। চালক রাস্তায় নির্ধারিত গতিসীমা ভঙ্গ করলেই নির্দিষ্ট জরিমানা গুনতে হবে। আমাদের দেশে এই ধরনের কোনও নিয়ম না থাকায় হাইওয়েতে অধিকাংশ চালক বেপরোয়া গাড়ি চালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটা

তিনি আরো বলেন, রাস্তার পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখাটাও দুর্ঘটনার একটি কারণ হতে পারে। এতে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। সড়কে এই নিয়ম অনেকেই মানেন না। প্রভাব খাটিয়ে অনেকে ব্যস্ত রাস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে দেন। এর ফলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান বলেন, নিরাপদ সড়ক মানে এমন একটি পরিবেশ যেখানে চালক, পথচারী এবং অন্যান্য সকল প্রকার সড়ক ব্যবহারকারী কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই নিরাপদে চলাচল করতে পারে। এর জন্য ট্র্যাফিক নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলা, রাস্তার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকা, স্পষ্ট ট্রাফিক সংকেত, এবং সবার সচেতনতা অপরিহার্য। তাহলেই সড়কে দুর্ঘটনা কমে আসবে। কিশোর ছেলেদের হাতে মোটর সাইকেল দেওয়ার বিষয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এ বিষয়ে অবশ্যই কেয়ারফুল থাকবেন যেন, পূর্ণ বয়স্ক না হলে কিশোর ছেলে-মেয়েরা এসব যানবাহন নিয়ে সড়কে বের না হতে পারে। কারণ কিশোর ছেলেরা একজোট হয়ে সড়কে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়। এতে নিজেও বিপদে পড়ে অন্য পথচারিদের ও বিপদে ফেলে।
নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে ট্রাফিকের এই কর্মকর্তা সকল যানবাহন চালকদের সেপ্টি ফার্স্ট ও সবধরনের ট্রাফিক আইন মেনে যানবাহন চালানোর নির্দেশ দেন।
