ঝিনাইদহে সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে নিয়ে স্বর্ণব্যবসায়ী উধাও

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে নিয়ে বিপুল দত্ত নামের এক স্বর্ণব্যবসায়ী উধাও হয়েছে বলে এলাকায় তুমুল ভাবে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিপুল দত্ত সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বাজারগোপালপুর এলাকার চিত্তরঞ্জন দত্তের ছেলে। গত ১৪ই আগষ্ট এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

সুত্রে জানাগেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েলের বড় স্ত্রী কুলসুম খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপুল দত্ত। সে বাজারগোপালপুর বাজারের জুয়েলারী ব্যবসা করেন। ব্যক্তিগত কাজে গত ১৪ আগষ্ট সে ঢাকা যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখে। বিপুল দত্তের স্ত্রী জানান, ঐ দিন বিকালে খোঁজ নিতে গিয়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এদিকে একই দিনে মধুহাটি ইউনিয়নের সাবেক ঐ চেয়ারম্যানের বড় স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হলে তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী জানায়, বিপুল দত্ত ও চেয়ারম্যানের স্ত্রীর পরোকিয়ার বিষয়টি এর আগে থেকেই কিছু লোকের মধ্যে কানাঘুষা করতে দেখা যেতো। তবে বিপুল দত্তের ঐ বাড়িতে যাওয়া আসা লোকের কাছে সন্দেহজনক মনে হলেও সম্ভ্রান্ত পরিবার বলে সেসময় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনি। কারণ, যথাযথ প্রমাণ ছাড়া এমন অভিযোগ তুললে চেয়ারম্যান পরিবারে সম্মানহানি ঘটতো। এ ঘটনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গত ১৪ আগষ্টের ঘটনা এলাকাবাসীর কাছে স্পষ্ট করে দিলো। চেয়ারম্যানের পক্ষে তার ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে বলেও সুত্রটি জানায়।

এদিকে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েলের ভাষ্য মতে জানা গেছে, ঐ স্ত্রীকে তিনি গত তিন মাস আগেই তালাক দিয়েছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, এ ঘটনার পরে বিপুল দত্তের স্ত্রী মানসিক সমস্যায় ভূগছেন। তারা বলেন, মধুহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের সাথে বিপুল দত্তের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সম্ভবত ঐ সূত্রধরে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বিপুল।

ঘটনার বিষয়ে এলাকার সুধী ব্যাক্তিরা জানান, সমাজে বেভিচারের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পারিবারিক ভাবে আমাদেরকে আরোও সচেতন হতে হবে। তাছাড়া ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটালে সমাজে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যে কারণে এদের কে আইনের আওতায় এনে কঠোর ভাবে বিচার করা উচিত। তাতে অন্যদের মধ্যে এমন মনোভাব সৃষ্টি হলে তারা উৎসাহ হারাবে।

এ বিষয়ে বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই উত্তম কুমার জানান, এক সম্প্রদায়ের মানুষ অন্য সম্প্রদায়ের মেয়েকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যাতে ঘোলাটে না হয় পুলিশ সেদিকে নজর রাখছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top