প্রবাসীর ৯ লক্ষ টাকার সোনার গহনাসহ নগদ ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

এমনি এক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে। খবর পেয়ে রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে আসাননগর গ্রামের সাহাদাৎ মন্ডলের ছেলে প্রবাসী রিপনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছিল স্ত্রী রিপনার। বিয়ের ৪/৫ বছর আগে থেকেই রিপন প্রবাসে থাকতেন। অজপাড়া গাঁয়ের কৃষক বাবার বড় ছেলে রিপন। অভাবের সংসারে হাল ধরতেই লেখাপড়া ছেড়ে দেশের এবং পরিবারের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমিয়েছিলেন প্রবাসে। দীর্ঘদিন পর মাতৃভূমিতে ফিরে বাবা মায়ের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন, এনেছিলেন মা’সহ নতুন বউকে পরানোর জন্য বিদেশি গহনা। বাবা মায়ের পছন্দে জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার হাড়ডাঙ্গা গ্রামের মন্টু অরফে লাল্টুর মেয়ে রিপনার সাথে গত ৭ বছর আগে বিয়ে হয় রিপনের। বিয়ের ২ বছরের মাথায় ফুটফুটে একটা কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তাদের। বর্তমান মেয়েটির বয়স ৫বছর, ভর্তিও করা হয়েছে শিশু শ্রেনিতে।

এদিকে প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৫ ই মার্চ মেয়েকে স্কুলে নিয়ে গিয়ে প্রবাসী রিপনের স্ত্রী বাড়িতে আর ফেরেননি বলে পরিবারের অভিযোগ। রিপনার বাবার বাড়িসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বউমা রিপনার খোঁজ না পেয়ে সন্দেহ হয় রিপনের পরিবারের।

রিপনের মা জানান, বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা রিপনের বিদেশ থেকে পাঠানো আমার, রিপনের মেয়ে ও স্ত্রীর দেওয়া সব মিলে সাড়ে নয় ভরি ওজনের সোনার গহনাসহ নগদ ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে রিপনা। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলেও জানান প্রবাসীর মা।

এদিকে ঘটনার ৪/৫ দিন পর রিপনের শশুর বাড়ী থেকে জানানো হয় যে, ইমরান নামে একটি ছেলের সাথে তাদের বাড়িতে উঠেছে রিপনা। সেই সাথে এও জানানো হয় যে, রিপনকে ডিভোর্স দিয়ে ইমরানকে বিয়ে করেছে সে। এ ঘটনা শোনার পর ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে ইমরান ও রিপনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান প্রবাসীর মা।

এঘটনার সত্যতা জানতে প্রবাসীর পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী রিপনার খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সে একই গ্রামের ইমরানের বাড়িতে সংসার করছেন। ইমরান আসাননগর গ্রামের মৃত আকবর মন্ডলের ছেলে।

এবিষয়ে গৃহবধূ রিপনা উল্টো শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে জানান, বিভিন্ন নির্যাতন সইতে না পেরেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে আসার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। ঐ গৃহবধূর বর্তমান স্বামী ইমরান মন্ডল বাড়িতে না থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়েও বন্ধ পাওয়া গেছে। ইমরানের এর আগে আরও দুইটি স্ত্রী ছিলো বলে জানান স্থানীয়রা।

 

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top